Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

‘আমাদের কাছে আসিফ-তুহিন দুজনেই সমান, তবু এটা একটা দৃষ্টান্ত’

সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর কারাগারে। মেধাসত্ব চুরির দায়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে তিনি গ্রেপ্তার হন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। যার মামলায় এখন তিনি কারাভোগ করছেন, তিনিও একজন শিল্পী, সুরকার, গীতিকার শফিক তুহিন। তাদের মধ্যে এক সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই বিরাজমান ছিলো। কিন্তু  অনুমতি ছাড়া বেশ কয়েকজন গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি মানতে পারেননি শফিক তুহিন। এছাড়া এই ৬১৭টি গানের মধ্যে আছে তার নিজেরও কিছু গান।

তাই থানায় গিয়ে আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন শফিক তুহিন। আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে আসিফ অন মোবাইল (প্রা.) লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রিজি কনট্যান্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে আসিফ।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আসিফকে গ্রেপ্তার করলে দেশব্যাপী নানা ধরনের কথা ওঠে। অনেকেই এই অবস্থাকে সংগীতে ‘কলঙ্কজনক’ বলেও আখ্যা দেন। কেউ বলেন আসিফের পক্ষে, আবার কেউ শফিক তুহিনের পক্ষে। তবে এক জায়গায় সবাই মোটামুটি এক। আর সেটা হলো, আসিফ-শফিক তুহিনের বিষয়টি নিয়ে এই সংকট সময়ে সংগীতের সিনিয়র মানুষদের হস্তক্ষেপের বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজন তাদের। এমন তিনজন গুণী মানুষ আলাউদ্দিন আলী, আলম খান ও শেখ সাদী খান। আসিফ আকবর ও শফিক তুহিনের বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন তারা:

‘সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে এটা একটা অবাঞ্চিত ঘটনা এবং সংগীত নিয়ে যে ব্যবসা হয় এই রয়ালিটির জন্য গত দশ বছর ধরে আমরা সংগ্রাম করছি। আর এখন আসিফ ও শফিক তুহিনের মধ্যে এমন ঘটনার জন্য দায়ী মূলত তৃতীয় পক্ষ। যারা শিল্পীদের টাকা পয়সাগুলো অবৈধভাবে লুটপাট করে খাচ্ছে তারা এরজন্য দায়ী। ‘হয়তো’-এগুলো নিয়ে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের সিনিয়র শিল্পীরা একসঙ্গে বসে এই ভুল বোঝাবুঝি মিমাংসা করতে পারেন। আমি নিজেতো অসুস্থ, তাই অন্য যারা আছেন তাদের একসঙ্গে বসে এই ব্যাপারগুলো সুরাহা করা উচিত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজে ফোন করে অনেককে বলে দিয়েছি।’

-আসিফ ও শফিক তুহিনের মধ্যে রেষারেষি, দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ ও মামলা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ খ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।

কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিরুদ্ধে রয়ালিটি চুরির মামলা করা ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ হয়েছে জানিয়ে আলাউদ্দিন আলী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমাদের শিল্পীদের রয়ালিটির টাকা গত ৪৭ বছর ধরে মেরে খাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক টাকাও রয়ালিটি পায়নি। আসিফের যে কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এটোতো কয়েকটা গানের জন্য, কিন্তু আমাদেরতো কয়েক লক্ষ গানের টাকা মেরে খাচ্ছে ভুয়া কিছু কোম্পানি। প্রায় দুই লক্ষ গান। মোবাইল কোম্পানিগুলো জানে। আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না, আব্বাস উদ্দিনের গানও কিন্তু মানুষ শোনে। আমরা না শুনলেও বিদেশে মানুষ শোনে। মোবাইলে, কিংবা ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে ডাউনলোড করে শোনে। বিভিন্নভাবে গান শোনে মানুষ। তো এগুলোর সত্ব কই? আসলে এসব কিছু করছে তৃতীয় পক্ষ। আর এগুলো নিয়ে আসিফের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত যাওয়া আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করিনি। এটা কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত। মামলা করতে যাওয়ার আগেই মুরুব্বিদের কাছে শফিকের যাওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু যেহেতু করেই ফেলেছে, তাই সিনিয়রদের আমি বলেছি বিষয়টি একটু দেখতে।

আসিফ ও শফিক তুহিনের কথা তুলে ধরে দুজনেরই দোষ আছে বলে জানান আলাউদ্দিন আলী। তার মতে: আসিফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে শফিক তুহিন মামলা করলো সেখানেতো শুধু তার একার গান নয়। সেখানে হয়তো গাজী মাজহার ভাইয়ের লেখা গান থাকতে পারে, রফিকুজ্জামান, মনিরুজ্জামান মনির, ফরায়েজির লেখা গান থাকতে পারে। আর সুরের কথা বললে আমার সুর করা গান থাকতে পারে, ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে গান থাকতে পারে, আলী আকরাম শুভ, শওকত আলী ইমনের করা সুরের গানও থাকতে পারে। তো এই যে এতোগুলো গীতিকার, সুরকারের কাজ শফিক তুহিন একলা একা করতে গেলো কেনো! কিংবা এই আসিফ যে কাজটা করলো, কাউকে কিছু না বলে তার কোম্পানির করে নিলো গানগুলো তার আগেতো অন্তত মৌখিকভাবেওতো বলতে পারতো। এই পারমিশনটা নিলেওতো ঝামেলায় পড়তে হতো না। তবে সবকিছুর পরেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই এই বিষয়টা যতো দ্রুত সম্ভব মিটমাট করে ফেলানো। আজকে পারলে আজকেই।

কথায় কথায় রয়ালিটি নিয়ে তিনি বলেন: মিউজিক কন্টেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানির বাস্কেটে প্রতি বছর সাড়ে আটশো থেকে এগারো/বারো ‘শো কোটি টাকা জমা পড়ে। ওই টাকাটা যদি ঠিক মানুষের কাছে এরা শেয়ার করতো তাহলে কি আমার বা আমার মতো যারা আছেন তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের দিকে তাকাইতে হয়! লাকী আখন্দের কি প্রয়োজন ছিলো কারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার? আমরাতো উল্টা আরো মানুষের চিকিৎসা করানোর সামর্থ রাখতাম। পৃথিবীর সব দেশের শিল্পীরা ঠিকঠাক রয়ালিটি পায়, এমনকি আমাদের পাশের দেশ ভারতেও রয়ালিটি পায় শিল্পীরা। এই যুগের ইউটিউব থেকেও লতাজি(লতা মুঙ্গেশকর) থেকে শুরু করে এই সময়ের ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত রয়ালিটি পাচ্ছেন। অথচ আমাদের অবস্থা দেখেন! আমাদের শিল্পীদের কি ভাত খাইতে হয় না? শিল্পীদের অসুখ হলে কি তাদের ঔষুধ খাইতে হয় না?

‘আমি ঘটনা পুরোপুরি জানতাম না যে, কেনো আসিফ কারাগারে! কিন্তু সবার কাছ থেকে শুনে মনে হচ্ছে, শফিক তুহিনের অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে আসিফতো অন্যায়ই করেছেন। আমার মতে এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। আসিফ যে অভিযোগে অভিযুক্ত, আরো যারা এরকম অসাধু উপায়ে ব্যবসা করছেন তাদের শিক্ষা হবে। এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে অন্যায় পথ বন্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার কিংবা এরকম আরো অনেকের মিউজিক দিয়ে অসাধু কিছু মানুষ কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। আমিতো ভদ্র মানুষ বলে কিছু করিনি। কিন্তু আসিফ ও শফিক তুহিনের ঘটনাটা যদিও কিছুটা কলঙ্ককের জন্ম দিয়েছে সংগীতে, কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এর মধ্য দিয়ে অসাধু মানুষরা কিছুটা হলেও হুঁশিয়ার হবে। কারণ এমন কাজতো আসিফ একলা করছে না নিশ্চয়। এরকম আরো বহু মানুষ অন্যের সত্ব বিক্রি করে দিচ্ছেন। তো তাদের জন্য এই ঘটনাটা দৃষ্টান্তের বলে আমি মনে করি।’ -বলছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ আলম খান।

সবাই বলছেন শফিক তুহিন মামলার আশ্রয় না নিয়ে সংগীতের মুরুব্বিদের নিয়ে বসেও ঝামেলার সুরাহা করতে পারতেন। এমন ঘটনায় আপনি কী বলবেন?-এমন প্রশ্নে সংগীত পরিচালক আলম খান বলেন: সংগীতের মানুষদের মধ্যে মামলা, কারাগারের ঘটনা একটা কলঙ্কজনক ব্যাপার। কিন্তু এর মধ্যেও একটা ভালো দিকের কথাতো বললামই যে, অসাধু ব্যবসায়িদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। আর যে কথা সবাই এখন বলছে, মুরুব্বিদের নিয়ে মিমাংসার কথা। হ্যাঁ, এমনটাও করতে পারতো শফিক তুহিন। কিন্তু নিজেদের ঘটনা নিজেরা গোপনে বসে মিটিয়ে ফেললে জিনিষটা গোপনেই পড়ে থাকতো। এটার কোনো রেজাল্ট আসতো না। অসাধু ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারও হতো না।

আসিফ ও শফিক তুহিনকে নিজের কাছের লোক দাবী করে প্রবীন এই সংগীত পরিচালক বলেন: আসিফ আমার খুব আপন, আবার শফিক তুহিনও আমার খুব আপন। সংগীত জগতটাই  আমার কাছে আপন। কিন্তু সংগীতে যে লুটতরাজ চলছে এটা বন্ধ হওয়া উচিত! সুতরাং বন্ধ হওয়া উচিতের কারণেই এই ঘটনা একটা দৃষ্টান্ত হলো। তবে আসিফের যেনো শাস্তিটা না হয়, আমি এটাই চাই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এরকম দৃষ্টান্তের পক্ষে। কারণ বড় কিছু না ঘটলেতো আমাদের শিক্ষা হয় না।

আসাদুজ্জামান নূরের একটি মন্তব্য কোট করে আলম খান আরো বলেন: ক’দিন আগে আমাদের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বললেন, ‘আমাদের বাড়ি ঘর কেউ দখল করে ফেললে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করে দেই, অথচ আমাদের গানগুলো যে দখল করে ফেলতেছে এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নাই।’ সেই হিসেবে আমার মত, এটা একটা দৃষ্টান্ত হলো। এতে যা প্রভাবটা পড়বে, সেটা হলো এতে অনেক অসাধু ব্যবসায়িদের টনক নড়বে।

এরপর নিজের সংগীত নিয়ে আক্ষেপের কথাও বললেন আলম খান। তিনি বলেন: আমার অসংখ্য গান নিয়ে এরকম হাজার হাজার অসৎ লোক কোটি টাকা কামাচ্ছে। আমার কাছ থেকে পারমিশন নেয়নি। এটা কি উচিত? তো শফিক তুহিন যে কাজটা করেছে, আমিতো বলবো খুবই সাহসের কাজ করেছে সে। অবশ্যই আসিফও তার আপন মানুষ। তারপরও সে মামলা করেছে। কম কষ্টে নিশ্চয় না। সংগীতে বহুদিন ধরে যে লুটতরাজটা চলছে, আমি মনে করি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে হয়তো একটা সমাধানে আসা সম্ভব। এমন ঘটনায় অনেকের টনক নড়া উচিত বলেও আমি মনে করি।

‘কপিরাইট বিষয়টি নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে যুদ্ধ করছি। আমরা যারা সিনিয়র শিল্পীরা আছি, তারা আন্দোলন করেছি কপিরাইট আইনটি শক্ত ও কার্যকর করতে। এক জনের মেধাসত্ব আরেকজন নিয়ে নিচ্ছে, পাইরেসি হচ্ছে এগুলো অনবরত চলছেই। সংগীত নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তারাও উদ্ধত ভঙ্গিতে এসব করেই যাচ্ছেন। কেউ কারো কোনো কথা শুনছে না। এখন কারো বিরুদ্ধে যদি মেধাসত্ব চুরির অভিযোগ প্রমাণ হয়, তার পক্ষ হয়ে আমরা যারা সিনিয়র আছি তারা কথা বলতে পারি না। কারণ এই আইনটি শক্তিশালী করতেতো আমরাই যুদ্ধ করে আসছি।’

-আসিফ ও  শফিক তুহিনকে নিয়ে সংগীতের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে বলার আগে এভাবেই নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান।

শফিক তুহিনের করা মামলায় কারাগারে আসিফ। এ নিয়ে রীতিমত তোলপাড় সংগীত ইন্ডাস্ট্রি। সবাই চাইছেন, সিনিয়ররাই এখন পারেন সব মিমাংসা করতে। কিন্তু সিনিয়রদের নিয়ে বসার উদ্যোগটা কে নিবে?-উল্টো এমন প্রশ্ন করলেন শেখ সাদী খান।

চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপকালে তিনি বলেন: আসিফ-তুহিনের ঘটনায় যে কেলেঙ্কারি সংগীতাঙ্গনে হয়েছে আমরা এমনটা ঘটুক তা চাই না। সংগীতের সবাই মিলে মিশেই থাকতে চাই। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে সিনিয়ররা পারেন এমন সমস্যা সমাধান করতে। তো, সিনিয়ররা নিশ্চয় তাদের কাছে যাবেন না। তাদের দুই পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে। তারা বলুক, তারা সিনিয়রদের নিয়ে বসতে চান। বসলে অবশ্যই একটা সমাধানতো বেরিয়ে আসবেই। কাউকে না কাউকে এক্ষেত্রে ত্যাগী হতে হবে। আমরাতো নিশ্চয় তাদের দ্বারে গিয়ে বলবো না যে, তোমরা আমাদের কাছে আসো। এখন সিনিয়রদের নিয়ে বসার উদ্যোগটা নিবে কে? তাদের দুই পক্ষেরই বন্ধু বান্ধব আছেন, তাদের কেউ যদি এমন পদক্ষেপ নিয়ে আইনের কাছ থেকে নিয়ে এসে সিনিয়র মানুষদের নিয়ে বসতে চায় তাহলে অবশ্যই আমরা বসবো। আমরা চাই আমাদের ছেলেপেলেরা ভালো থাকুক, মান সম্মান নিয়ে থাকুক। সংগীতের আমরা সবাই ভাই ভাই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুক এটা মনে প্রাণে চাই।

অন্যদিকে বিষয়টি এখন আইনের হাতে চলে যাওয়ায় কিছুটা শঙ্কিত সংগীতের এই প্রবীন মানুষ। কপিরাইট আইন নিয়ে ইতিবাচক এই সংগীতজ্ঞ বলেন, আমাদের কোটি কোটি টাকা খেয়ে ফেলতেছে মানুষ। আজকে আমার ৫টা গানের টাকা দিলেইতো ঢাকা শহরে দুইটা বা তিনটা বাড়ি হয়। এরকম ভাবে আলাউদ্দিন আলী ভাই, আলম খানের ৫টা গানের মেধাসত্ব যদি দেয়া হয় ঠিকঠাক তাহলে তাদেরওতো ঢাকা শহরে কয়েকটা বাড়ি হয়। কথার কথা বললাম! মূল কথা হচ্ছে, কপিরাইট যে আইনটা হয়েছে, আমরা চাই এর যথাযথ প্রয়োগ। এটা নিয়ে কোনো রকম কোয়ালিশন কিংবা কোনো রকম ভুল বোঝাবুঝি হোক এটা আমরা চাই না। এতোদিনতো কোনো পক্ষই আমাদের কাছে বিষয়গুলো নিয়ে আসেনি। এখন বিষয়টা আইনের হাতে চলে গেছে, তারপরও যদি উদ্যোগ নেয়া হয় আমরা সবাই মিলে ঘটনাটি সুরাহা করতে বসতে পারি। ভবিষ্যতে যেনো এরকম কোনো ঘটনা না ঘটে এদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এদিকে আরেকটি সন্দেহের কথাও জানান শেখ সাদী খান। আসিফ জামিনে বের হলে তাকে এবং শফিক তুহিনকে নিয়ে একসাথে বসা না হলে এই দুই শিল্পী ভবিষ্যতে আরো ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠতে পারেন বলেও মনে করেন সাদী। তার মতে, আসিফ জামিনে বের হলেই একসঙ্গে বসিয়ে সব বিষয়ে খোলাসা করা উচিত। না হলে ভবিষ্যতে আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।

Exit mobile version