‘বাংলাদেশে থাকতেও আব্বু দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা পেয়েছেন, ব্যাংককে নিয়ে আসার পরও তিনি এখানকার সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাচ্ছেন। ডাক্তাররা উনাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে অসম্ভব যত্ন নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উনার ছেলে হিসেবে আমাদের আর কোনো দুঃখ নাই, কারণ আব্বু সর্বোচ্চ চিকিৎসাটা পাচ্ছেন। এখন বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’
বুধবার রাতে ব্যাংকক থেকে চ্যানেল আই অনলাইনকে ফোনে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দেশের দাপুটে নির্মাতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে সোহেল আরমান।
গেল ১৮ নভেম্বর থেকে ব্রেন স্ট্রোক করে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ খ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেন। খ্যাতনামা এই নির্মাতার এমন অবস্থায় সুচিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নিয়ে যেতে তার পরিবারকে ৪২ লাখ টাকা অর্থ সহযোগিতাও করেন তিনি।
ব্যাংককে নিয়ে যাওয়ার পর আমজাদ হোসেনের বর্তমান অবস্থা জানতে মুখিয়ে আছেন দেশের হাজারও ভক্ত অনুরাগী ও গণমাধ্যমের মানুষেরা। তবে তাদেরকে খুব একটা আশার বাণী শোনাতে পারেননি তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান।
আমজাদ হোসেনের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, আব্বু কিন্তু ক্রিটিকেল একটা সিচুয়েশন নিয়ে ব্যাংকক এসেছেন। অনেকগুলো জটিল সমস্যা রয়েছে উনার। ব্যাংককের চিকিৎসকরা গভীরভাবে ভেবে চিন্তে কাজ করছেন। ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছেন, আব্বুর সমস্ত কমপ্লিকেটেড বিষয়গুলোর সাথে তারা ফাইট করছেন। সমস্ত কন্ডিশন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বাকিটা আল্লার ইচ্ছা।
ব্রেনে অপারেশন করার মতো অবস্থায় নেই আমজাদ হোসেন, এমনটা জানিয়ে সোহেল আরমান আরো বলেন, মস্তিস্কে অপারেশন করার মতো অবস্থায় আব্বু এখন নেই। কারণ তার কিডনি লেভেল সমস্যা রয়েছে, লাঞ্চে সমস্যা রয়েছে, নিউমুনিয়া রয়েছে, ডাক্তাররা আগে এগুলো নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও আব্বুর অনেক ইনফেকশন রয়েছে, যেগুলো আগে সারাতে কাজ করছেন চিকিৎসকরা, এগুলো নিয়েও ডাক্তারদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এ সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর অবস্থার একটু উন্নতি হলে অপারেশনে যাবেন চিকিৎসকরা।