নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মামাতো ভাই আবু তালহা বলেছেন, আবরারের বাবা বরাবরই আওয়ামী লীগের সমর্থন করেন। কিন্তু আবরার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
শিবিরকর্মী সন্দেহে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে চ্যানেল আই অনলাইনকে এ কথা বলেন তিনি।
আবু তালহা বলেন, ‘আসলে তার (আবরার) বাবা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন। পরিবারের আর কেউ ওভাবে রাজনীতি করে না। তবে তারা সবসময়ই আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়।’
‘আমার ফুফাতো ভাইয়ের বাসাটা বর্তমান আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের কুষ্টিয়ার বাসার সাথেই। তাই আমার ফুফু-ফুফারা সবাই আওয়ামী লীগপন্থিই।’
আবরারের এই আত্মীয় জানান, ক্যাম্পাসে এসেও সবার সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন আবরার কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
আবু তালহা বলেন, ‘আবরারের পা থেকে মাথা পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন। হাতে কাঁধে রক্ত জমে আছে। এতটা নির্মমভাবে মানুষ মানুষকে হত্যা করতে পারে!! তাও আবার একজন ভালো, মেধাবী ছাত্র।’
‘আমার মনে হয় না তার মতো ভালো মানুষ আর হতে পারে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-কালাম পড়ত। মায়ের কথায় উঠত বসত। সে কোনো খারাপ কিছুর সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে বলে আমার মনে হয় না,’ বলেন তিনি।
আবরারের সহপাঠী বা বন্ধুদের সাথে কথা হলেও তারা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাইছেন না বলে মন্তব্য করেন আবু তালহা। তিনি বলেন, যাকেই জিজ্ঞেস করেছেন, তিনি বলছেন তাদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
‘তারা বলছে, আপনারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন, এর থেকেই আপনারা সবকিছু জেনে যাবেন,’ বলেন নিহত বুয়েট শিক্ষার্থীর মামাতো ভাই।
আবরার ফাহাদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। রোববার সন্ধ্যার পরে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা। এরপরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া।
আবরার হত্যাকাণ্ডে হলের সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় বুয়েটের ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।