সব মামলায় জামিন পাওয়ায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের একজন দিলদার আহমেদের মুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে ৩ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ওইদিনের আদেশের ফলে ৩ মালিকের মধ্যে গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমদের মুক্তিতে বাধা কাটে। কিন্তু ওইসময় আরও দুই মামলা হাইকোর্টে স্ট্যান্ড ওভার থাকায় দিলদার আহমেদের মুক্তি মেলেনি।
গত মঙ্গলবার মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) থাকা দুই মামলার মধ্যে একটিতে এবং আজ রোববার সর্বশেষ মামলায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সাহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পান দিলদার আহামেদ।
আজকের এই জামিন আদেশের ফলে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের একজন দিলদার আহমেদের মুক্তিতে বাধা কাটে। আদালতে দিলদারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিনুদ্দিন।
অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক।
ওইদিন দিলদারের বিরুদ্ধে হওয়া অন্য দুই মামলা মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রেখে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।
বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা।
মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫.৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। পাচ মামলার মধ্যে গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে একটি করে মোট দুটি আর দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে করা হয় ৩ টি মামলা।