আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন: আমি বিএনপির উদ্দেশে পরিষ্কার করে বলতে চাই, তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করে, তাহলে আমরা তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। আর যদি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় তাহলে জবাব দিয়ে দিবো।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন৷
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি যদি মনে করে সহিংসতা সৃষ্টি করে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করবেন, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে আছেন।
তিনি আরও বলেন: সবাই প্রস্তুত হয়ে যান, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এখনও চক্রান্ত চলছে, শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত রুখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন: উন্নয়ন অর্জনের পরও বিএনপি ও তার দোসররা সরকারে উন্নয়ন দেখে না। তারা চোখে কালো চশমা পড়েছে। কালো চশমার ফাঁক দিয়ে তারা উন্নয়ন দেখতে পায় না। আর জনগণ তাদের চায় না। আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। এখন তাদের অবলম্বন হচ্ছে প্রেস ব্রিফিং, তাদের অবলম্বন হচ্ছে নালিশ। বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি হয়ে গেছে। এখন দেশে ঠাঁই না পেয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে।
খালেদা জিয়া মুক্তি বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন: খালেদা জিয়ার মুক্তি সেটা আমরা বারবার বলেছি আমরা তাকে জেলে নেইনি। আদালতের মামলার রায়ে জেলে আছেন। আপনারা আইনী লড়াই করে তাকে মুক্ত করুন। আমাদের সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। বিএনপি আদালত মানে না, আইনের শাসন মানে না, বিচার মানে না, শালিস মানে না। আদালত প্রাঙ্গণে পর্যন্ত তারা আদালতের ওপর চাপ দিতে সেখানে ভাঙচুর করেছে।
তিনি আরও যোগ করেন: আদালতের সামনে তারা পুলিশের ওপরে হামলা করেছে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আদালত প্রাঙ্গণকে রণাঙ্গনে পরিণত করেছে। এরা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিরাপদ নয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।