শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) কঠিন শর্ত মেনে দেশটিতে সফর করতে রাজি নয় বাংলাদেশ। কোয়ারেন্টাইন শর্তাবলী নিয়ে বিসিবির আপত্তির পর দুসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নতুন করে গাইডলাইন পাঠায়নি আয়োজক দেশের বোর্ড। সেই অনিশ্চিত অপেক্ষার অবসান হতে পারে আজই।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল রোববার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আশা করছি আজকের মধ্যেই আমরা একটা ভালো সিদ্ধান্ত পাবো। আমরা চাই এই সিরিজটায় অংশগ্রহণ করতে।’
সিরিজ পিছিয়ে না গেলে এখন শ্রীলঙ্কার বিমানে থাকতেন মুমিনুল-মুশফিকরা। কিন্তু লঙ্কান সরকারের কঠিন স্বাস্থ্যবিধির কারণে ঝুলে আছে সিরিজের ভাগ্য। খেলোয়াড়দের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন কমিয়ে আনা ও অনুশীলনের সুযোগের দাবি জানিয়েছিল বিসিবি। যার উত্তর আজ আসবে বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
রাজধানীর একটি হোটেলে জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে একটা সিরিজ হবে এটা আমরা অনেক আগ্রহের সঙ্গে নিয়েছি, আমরা খুবই উদগ্রীব এবং আমাদের খেলোয়াড়রাও সিরিজের জন্য অনুশীলনের মধ্যে আছে।’
‘ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক আলাপ-আলোচনা চলছে। তারা (শ্রীলঙ্কা) যে বিধিনিষেধ দিয়েছে, আমরা বলেছি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা সেটি কিছুটা কমানো, পাশাপাশি হোটেল কক্ষে থাকার যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, আমরা বলেছি, ‘‘না’’। একজন খেলোয়াড় যদি ১৪ দিন রুমের মধ্যে বসে থাকে তাহলে ফিটনেসের ঘাটতি হবে, তাহলে সে খেলাধুলা কিছু দেখাতে পারবে না।’

‘আমরা বলেছি হোটেলের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, জিম থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, সেটা আমরা যাতে ব্যবহার করতে পারি, সেটার জন্য আমাদের সুযোগটা যেন দেয়া হয়। এই বিষয়ে আজকে শ্রীলঙ্কা থেকে সিদ্ধান্তটি আমাদের পাবার কথা। এটা পেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে একটা বার্তা পাবেন, আশা করছি আজকের মধ্যে।’
‘একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেস হল বড় বিষয়। রুমের মধ্যে বন্দি থাকলে কখনোই একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেস ঠিক থাকবে না। আমরা বলেছি, হোটেলে আমরা থাকতে পারি, কোয়ারেন্টাইন সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া হোক, আর হোটেলের সুযোগ-সুবিধা জিম থেকে শুরু করে সুইংমি অন্যান্য সুযোগ যাতে খেলোয়াড়দের দেয়া হয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি আমরা। আশা করছি আজকের মধ্যেই একটা ভালো সিদ্ধান্ত পাবো। আমরা চাই সিরিজটায় অংশগ্রহণ করতে।’
করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে বন্ধ মাঠের খেলা। মাঝে স্থগিত হয়েছে টাইগারদের বেশ কয়েকটি সিরিজ। দীর্ঘ করোনা বিরতি কাটিয়ে অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশের।