করোনা সংকট এবং পশ্চিমা কিছু দেশের আসর বয়কটের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা কাটিয়ে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজন করেছে চীন। আয়োজক দেশটি এবার বিদেশি খেলোয়াড়দের কথা বলা এবং উদযাপন নিয়ে সতর্ক করেছে। যাতে তারা প্রতিযোগিতার স্থান বা পদক স্ট্যান্ডে চীনা আইন লঙ্ঘন না করে।
চীনের অলিম্পিক আয়োজক কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপ-মহাপরিচালক ইয়াং শু জানিয়েছেন, অ্যাথলেটরা চীনা আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তির মুখে পড়বে।
‘‘অলিম্পিক চেতনার সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনও অভিব্যক্তি সুরক্ষিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অলিম্পিক চেতনার সংঘর্ষপূর্ণ কোনো আচরণ বা বক্তৃতা, বিশেষ করে চীনা আইন ও বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু শাস্তির আওতায় আনা হবে।’’
অ্যাথলেটরা লড়াইয়ে নামার অনুমতি দিলেও কূটনৈতিক কারণে বেইজিং অলিম্পিকে প্রতিনিধি পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৮ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দুই সময়ে ক্রীড়া মহাযজ্ঞ আয়োজন করা প্রথম দেশ হয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং। অলিম্পিকের চলতি আসরে থাকছে ৯০টি দেশের ২ হাজারের অধিক অ্যাথলেট। ১৫ ডিসিপ্লিনারিতে ১০৯টি ইভেন্টে হবে পদকের লড়াই।