
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ‘গণহত্যায়’ জড়িত অপরাধীদের বিচার করতে অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
আইসিসি’র প্রসিকিউটর অফিস তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার আইসিসি অফিস অব প্রসিকিউটরের (ওটিপি) পরিচালক ফাকিসো মোচোচোকো রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি (তদন্ত) ইতোমধ্যে চলছে। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার করা হবে।’
তিনি জানান, তাদের এই তদন্তে ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাসভূমিতে হওয়া সহিংসতার সঙ্গে একজন সাধারণ সৈনিক থেকে শুরু করে জেনারেল বা অন্য যে কারো অপরাধী হিসেবে জড়িত থাকা প্রত্যেকের বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তদন্ত প্রক্রিয়াটি ‘দীর্ঘ, কঠোর এবং চ্যালেঞ্জিং’ এবং ‘এটি এক বছর, দুই বছর, তিন বছর বা আরও বেশি সময় নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোচোচোকো।
এর আগে জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) গণহত্যা রোধ করতে মিয়ানমারকে ‘তার ক্ষমতার মধ্যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার আদেশের বিশদ শুনানির রায় দিয়েছিলেন। তার দুই সপ্তাহ পর এ ঘোষণা দিলো ওপিটি নামে পরিচিত আইসিসির আইনজীবী কার্যালয়।
আইসিআইজে প্যানেলের ১৭ সদস্যের সব বিচারকই সর্বসম্মতিক্রমে পর্যবেক্ষণ করেছেন রোহিঙ্গাদের ওপর এখনো গণহত্যার ‘মারাত্মক ঝুঁকি’ রয়েছে।
আইসিজে’র অধীনে থাকা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইস্যু মীমাংসা বাধ্যতামূলক। সেজন্য আইসিসি’কে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করার এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়।