
অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি কমিউনিটির সংগঠক গাউসুল আলম শাহাজাদার নেতৃত্বে ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির সর্ববৃহৎ প্রাণের মেলা ঐতিহ্যবাহী ‘বৈশাখী মেলা’।
৭ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া’র ব্যানারে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
গত ১৮ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া এই বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে। দর্শক সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্কিং সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৬ বছর পর মেলা নতুন ভেন্যু ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে যাত্রা শুরু করে গত বছর থেকে।

সিডনির এই বৈশাখী মেলা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি ও অন্যান্য ভাষা-ভাষীদের এক মহামিলন মেলা। সিডনির দূর দূরান্ত ছাড়াও ক্যানবেরা, মেলবোর্ন থেকেও মেলায় অগনিত দর্শকদের সমাগম ঘটে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রবীণদেরও বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে ও মেলা প্রাঙ্গণে মুখরোচক দেশীয় খাবার নিয়ে পাটি বিছিয়ে খেতে দেখা যায়। আবার অনেককে বলতে শোনা গেছে ‘ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে নয়, এ যেন প্রবাসে এক বাংলা মায়ের কোল’।
বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের ৬০টি ছোট বড় বিভিন্ন দোকানের সমারোহ, স্থানীয় ছোট বড় সংস্কৃতি শিল্পীদের গান এবং আবৃত্তি, বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের রাইডস, ফ্যাশন শো, মনোজ্ঞ আতশবাজি, র্যাফেল ড্রসহ সব ধরনের আয়োজনের সমারোহ ছিলো। ফেয়ারফিল্ড বৈশাখী মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় শেষ পর্ব ছিলো বিখ্যাত গায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং তার সন্তান জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হাবীব ওয়াহিদের মন মাতানো সংগীত পরিবেশনা।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক এবং মেলা কমিটির আহ্বায়ক গাউসুল আলম শাহজাদা তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রবাসী কমিউনিটির সার্বিক সহযোগিতার কথা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে মেলার আলোচনা পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।