অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যখন খেলতেন, ছিলেন নিখাদ এক অলরাউন্ডার। অফস্পিনের পাশাপাশি ব্যাট করতেন মিডলঅর্ডারে। জাতীয় দলে এসে বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং করতেন সাত-আট নম্বরে।
ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছিল একবার। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে মিরাজকে ইনিংস উদ্বোধন করতে পাঠিয়ে দেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তারপর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে তাকে ওপেন করতে।
জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ওপেন করেছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করছেন মিরাজ। যদিও প্রথম দুই ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে আউট হন প্রথম বলে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিং নিয়ে রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন মিরাজ। তরুণ অলরাউন্ডার জানালেন, ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশে শুরুতে নামার সুযোগ লুফে নিয়েছেন।

‘একটা জিনিস দেখেন, কমবেশি তো ব্যাটিং করতে পারি। ওটা থেকেই আত্মবিশ্বাসটা আসা। সবচেয়ে বড় বিশ্বাস এসেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। এরপর থেকে নিজের ভেতরে আস্থা চলে এসেছে। নিজেকেও বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছি, হয়তো উপরে ব্যাটিংটা করতে পারবো। এশিয়া কাপের পর গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ওপেন করেছি, এই বছরও করেছি। এশিয়া কাপে ফাইনালের পর থেকেই এটি হয়েছে।’
‘এটা আসলে আমার জন্য ভালো একটা চ্যালেঞ্জ। দেখেন, আমার জন্য বড় সুযোগ। আমার কাছে কিন্তু টিমের অনেকবেশি প্রত্যাশা না। যেটা ওপেনার ব্যাটসম্যানের কাছে থাকবে। আমার কাছ থেকে হয়তো প্রত্যাশা থাকবে টিমকে একটা ভালো অবস্থানে দাঁড় করানো, ৩০-৪০ রানের পার্টনারশিপ করা, ভালো একটা শুরু করা। এরকম ছোট ছোট প্রত্যাশা থাকবে। যদি ছোট ছোট কিছু টিমকে দিতে পারি। এটাই আমার জন্য অর্জন হবে। হয়তো অনেক অভিজ্ঞ হতে পারবো, উপরে নতুন বলে খেলার অভ্যাসটা হয়ে গেলে।’