বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার অব্যাহত প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
‘শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন’-এর উদ্যোগে দেশের বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এ বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন: বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হচ্ছে বলে আমরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও প্রচারমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও আমরা আগ্রহের সাথে লক্ষ করছি। কিন্তু আমরা অতি উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি, সরকার কর্তৃক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও প্রশ্নফাঁস হয়েছে এমন খবর থামছে না।
তারা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন: এগুলোর সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক। প্রশ্নফাঁস প্রমাণিত হলে পরীক্ষাগুলো পুনরায় গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি প্রশ্নফাঁসের মতো অসৎ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। তা না হলে এটা শিক্ষাঙ্গনে ভয়াবহ দূর্যোগ ডেকে আনবে।
তারা মনে করেন: শুধু বস্তুগত সম্পদে নয়, একইসঙ্গে শিক্ষা-দীক্ষায়, শিল্প-সাহিত্যে ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সম্পদশালী একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা দরকার। সেই বিবেচনা থেকে সরকার এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক হাশেম খান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনূর রশীদ, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, অধ্যাপক আবুল বারকাত, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
এছাড়া বিদেশে অবস্থানের কারণে ইমেইলের মাধ্যমে সম্মতি জানিয়েছেন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। স্বাস্থ্যগত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক আনিসুজ্জামানও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।