চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং
Channelionline.nagad-15.03.24

অসহযোগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ

অসহযোগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৭১’র ভয়াবহতার স্মৃতিচিহ্ন

পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মাইন, গ্রেনেড কিংবা বিমান হামলায় দেশের অবকাঠামো খাতে যে ক্ষতি হয়েছিল তা আজও রয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ৭১ এর ভয়াবহতার স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে মুখ থুবড়ে আছে অনেক ব্রিজ, কালভার্ট আর রেলসেতু। পঞ্চগড় থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছে এই খবর শুনে তাদের প্রতিহত করতে ভুল্লি নদীর উপরের এ ব্রীজটি ধ্বংস করে দিয়েছিলো পাকিস্তানী হানাদাররা। আর দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর উপর এই রেলসেতুটি যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। জর্জবাহিনীর নেতৃত্বে দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হয়েছিল এখানে। রাজশাহীতে…

বঙ্গবন্ধুর ডাকে ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে যায় রংপুরের মানুষ

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ২৮ মার্চ তীর, লাঠি, বল্লম, কুড়াল, দা নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে যায় রংপুরের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। ক্যন্টনমেন্টের কাছাকাছি পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। এভাবেই শহীদ হন গ্রামের কয়েক হাজার সহজ সরল মানুষ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় সংঘবদ্ধ হয় রংপুর শহরের পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ। পাকিস্তানি সৈন্যদের হত্যা করতে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করার পরিকল্পনা করে তারা। কৌশল হিসেবে প্রথম সারিতে রাখা হয় তীর চালানোয় পারদর্শি সাওতালদের। পরের সারিতে দা, কুড়াল,…

হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হন ৬০০ মুক্তিযোদ্ধা

৬ জানুয়ারি ১৯৭২, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে দিনাজপুরের এক ট্র্যাজেডি দিবস। স্বাধীনতার পর ৬ ও ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ২ হাজার মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হন ৬‘শ মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে স্বাধীনতা উপহার দেওয়ার ২১ দিন পর যাদের সমবেত করা হয়েছিল নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য। ১৯৭২ এর ৬ জানুয়ারি উত্তরাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ জেলায় পাঠানোর জন্য দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ স্কুল মাঠে আনা হয়। আয়োজন করা হয় নৈশভোজের। একই স্কুলে উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করা মাইন ও গোলাবারুদ জমা করা হয়। ঠিক নৈশভোজের আগে…

মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতো পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া ডাক বাংলোয়

মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতো পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া ডাক বাংলোয়। সেখান থেকে ৬ নম্বর সেক্টরের যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার। জাতীয় নেতাদের অংশগ্রহণে ওই ডাক বাংলোয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের কারণে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদাররা সীমান্ত এলাকা তেতুলিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টরের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো তেতুলিয়া ডাক বাংলো। এখানে পরিবারসহ থাকতেন ৬ নম্বর সেক্টর কমান্ডার উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার। পাশের…

মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও শত্রু ক্যাম্প উড়িয়ে দেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর

সর্বকনিষ্ঠ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান মৌলবীবাজারে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। একাত্তরের ২৮ অক্টোবর ৪ নম্বর সেক্টরের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও শত্রু ক্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে অকুতোভয় ভূমিকার জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন সিপাহী হামিদুর রহমান। এমএ সালামের পাঠানো তথ্য ও ভিডিওচিত্রে রাজীব আহমেদের রিপোর্টে  দেখুন বিস্তারিত : https://www.youtube.com/watch?v=0vQuOleQ_Hw

পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যার সাক্ষী ঢাবি’র জগন্নাথ হল

অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হওয়ার পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী প্রথম যে কয়েকটি জায়গায় আক্রমণ করেছিলো সেগুলোর মধ্যে জগন্নাথ হল ছিলো অন্যতম। হামলার পর হলের আশপাশে যারা বেঁচে ছিলেন তাদের এনে জড়ো করা হয়েছিলো হলের মাঠে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় তাদের অনেক নৃশংসভাবে মৃত্যু হয়েছিলো। জগন্নাথ হলের পাশে শিববাড়ি এলাকায় ছিলো মধুর ক্যান্টিনের মধুদাসহ তার পরিবারের বসবাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করে। তখন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শহীদ মধুসুধন দে’র ছেলে অরুণ দে। এছাড়া…

তিন সহযোদ্ধাকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ

যশোরের ঝিকরগাছার গোয়ালহাটিতে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ। নিজের জীবন দিয়ে তিন সহযোদ্ধাকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান এই বীরশ্রেষ্ঠ। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের ঝিকরগাছার গোয়ালহাটিতে পাকিস্থানী বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে সুতিরপুরে নিজস্ব প্রতিরক্ষার সামনে নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে ৫ জনের একটি টিম পাঠনো হয়। সকাল ৯টার দিকে পাকিস্থানী বাহিনী তিন দিক থেকে ঘিরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা থেকে পাল্টা গুলিও চলে। সেই সময়ে সিপাহী নান্নুমিয়া…

ভিডিওচিত্রে ঢাবির জগন্নাথ হলে পাকিস্তানী সৈন্যদের হত্যাযজ্ঞ

একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ঢাকা ও দেশব্যাপী নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিলো পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। সেই হত্যাযজ্ঞের অন্যতম টার্গেট ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল। সে সময় জগন্নাথ হলে পাকিস্তানী সৈন্যদের বর্বরতার কিছু ঝাপসা ভিডিওচিত্র উদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন এনবিসি নিউজ। এনবিসি নিউজ এর রিপোর্টার রন নেসেন  জগন্নাথ হলে  পাকিস্তানি সৈন্যদের হত্যাযঞ্জের  প্রায় নয় মাস পর  ওই হত্যাযঞ্জের  ভিডিওচিত্র উদ্ধার করে প্রচার করেন। ওই ভিডিওচিত্রে তুলে ধরা হয়, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কিভাবে ১৯৭১ সালের…

সম্পাদকীয়র পরিবর্তে

একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে কখন আসবে কবি? এই শিশুপার্ক সেদিন ছিল না, এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না, এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না তাহলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি? তাহলে কেমন ছিল শিশু পার্কে বেঞ্চে বৃক্ষে ফুলের বাগানে ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি? জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত। তাই দেখি – কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ কবির…

জীবন দিয়ে সহযোদ্ধাদের একাই রক্ষা করেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাঙামাটির নানিয়ারচরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ অসম সাহসীকতায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ৭টি স্পিডবোট। নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে একাই রক্ষা করেন সহযোদ্ধাদের। বিস্তারিত দেখুন মনসুর আহমেদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিওতে রাজীব আহমেদের ভিডিও রিপোর্টে: https://youtu.be/46cng3FLhaY