চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং
Channelionline.nagad-15.03.24

ফিরে দেখা সব চোখে: নভেম্বর, ১৯৭৫

ফিরে দেখা সব চোখে: নভেম্বর, ১৯৭৫

‘মাশরাফিকে টি-টুয়েন্টি দলে রাখা হবে’

স্মরণীয় এক সফর শেষে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিসিবির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে দলের সদস্যদের স্বাগতম জানানো হয়। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি মাশরাফিকে টি-টুয়েন্টি দলে রাখা হবে বলে জানান।মাশরাফির অধিনায়কত্ব ছাড়া ও একেবারেই টি-টুয়েন্টি খেলা ছাড়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছেড়েছে। তবে তাকে টি-টুয়েন্টি দলে রাখা হবে।’যদিও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার কোন সম্ভাবনা নেই বলে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই জানিয়ে গেলেন মাশরাফি।এর আগে সকাল ১১.৩৫…

নভেম্বর কেড়ে নিল বীর বিক্রম হুদা ও বীর উত্তম হায়দারকেও

সাত নভেম্বর মানেই জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠার দিন। সেদিন হেরে যান খালেদ মোশারফ, সেনাবাহিনী প্রধানের পদে থেকেও জীবন দিয়ে অভ্যুত্থান দায় পরিশোধ করেছেন। নিহত হয়েছেন সেনাসদস্যদের হাতেই। আরো আলোচিত কর্নেল আবু তাহের। পরে কারাগারে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলেছেন তিনি। এখন প্রতি বছর নভেম্বরে আলোচিত হয় তাদের নাম। কিন্তৃ বিস্মৃতিতে আছেন আরো দুজন  বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা নিহত হয়েছিলেন খালেদ মোশারফের সাথেই। এদের একজন কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম এবং অপরজন হলেন লে. কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তম।কর্নেল তাহেরের রাজনৈতিক দল জাসদ এখন…

৭ নভেম্বর থেকে কী শিক্ষা নেবে বাংলাদেশ?

সাত নভেম্বরকে কীভাবে দেখবো আমরা? বিএনপি, আওয়ামী লীগ নাকি জাসদের রাজনৈতিক দৃষ্টিতে? নাকি ৭ নভেম্বর নিহত তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফ, হায়দার ও হুদার পরিবারের মতো করে? এখনো জেনারের খালেদ মোশাররফের মেয়ে বাবার হত্যাকাণ্ডের জন্য মামলা করতে চান। কর্নেল হুদার ছেলে চান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যেন একটি তদন্ত হয়। আর লে. কর্নেল হায়দারের স্বজনরা চান সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করুক। এসব নিয়ে এখন অন্য কেউ কথা বলেন না।ইতিহাসের পাতায় কীভাবে মূল্যায়িত হবে ৭ নভেম্বর? ৪১ বছর পরও বিতর্ক অব্যাহত আছে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যে রাজনৈতিক…

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সায়েমের শপথ আর সিপাহি বিপ্লবের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলে

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর রক্ত মাড়িয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদ। মাত্র ৮১ দিনের মধ্যেই তার অবৈধ শাসনামলের অবসান হয়েছিল। ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম দেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান হিসেবে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফসহ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তখন যে সেনানিবাসে তার অবস্থান কতটা দুর্বল হয়ে গেছে সেটা খালেদ বুঝতে পারেননি। এখন বলাই যায় যে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে বা আটঘাট বেঁধে অভ্যুত্থান করেননি খালেদ মোশারফ। মুক্তিযুদ্ধে ২ নং…

রাষ্ট্রপতি হতে চাননি খালেদ, কিন্তু যোগাযোগ ছিল রাজনীতিকদের সঙ্গে

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কেমন চলেছিলো বাংলাদেশ, সে সম্পর্কে তেমন পরিষ্কার কোনো বিবরণ নেই। ওই দুই মাসের ঘটনা নিয়ে বই বা অন্য লেখালেখিও কম হয়েছে। তবে পঁচাত্তরের নভেম্বরটা খুব ঘটনাবহুল হওয়ায় যারা স্মৃতিকথা যারা লিখেছেন তাদের লেখা এবং এখনো যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকেই জানা যাচ্ছে সব। নভেম্বর ছাড়া আমরা অবশ্য ওইসব দিনের কথা যেমন আলোচনা করি না, তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সে সময়ের নিরপেক্ষ একটি ঘটনাপঞ্জির অভাবও অনুভূত হয় বারবার। সেজন্যই আমরা ডিবিসি নিউজের উদ্যোগে পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে আটপর্বের ধারাবাহিক আলোচনা…

খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান আর খুনীরা পগারপার

৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এবার সেই দিবস উপলক্ষে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী  উদ্যানে জনসভা করতে চায় বিএনপি। জনসভা নিয়ে সরাসরি বিরোধিতা না থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৭ নভেম্বরকে বিপ্লব দিবস বলতে নারাজ। ১৯৭৫ সালের পর থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সরকারের সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালিত হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করে দেয়। এতে বোঝা যায় ১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিতর্কের অবসান হয়নি। আর এ কারণেই ৪১ বছর পরও আলোচনার সুযোগ আছে । এখনো ৭ নভেম্বরের পক্ষ-বিপক্ষের বিভাজনটা দারুণভাবে আমাদের…

নভেম্বরের প্যান্ডোরাবক্সে লুকিয়ে আছে জেলহত্যার নেপথ্যকাহিনী

ইতিহাসের চর্চা শুধু নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস পর জেলখানার মত নিরাপদ স্থানের ভেতরে হত্যা করা হয়েছিল জাতীয় চার নেতাকে। আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা হয়েছিল আগস্টেই। তাহলে কেন জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো? '৭৫ এর নভেম্বর নিয়ে আলোচনা আরো হতে হবে। কে বা কারা জেলখানায় ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা হত্যা মামলার রায়ে জানা গেছে। মৃত্যুদণ্ডও হয়েছে মামলার আসামীদের। কিন্তু আগস্ট আর নভেম্বর মিলিয়ে দেখতে হবে। আর সে উদ্দেশ্যেই যখন আলোচনার সূত্রপাত করেছিলাম তখন অনেকেই তা ভালোভাবে নেয়নি।এমনকি ডিবিসি নিউজের আলোচনায় এসে জাসদ একাংশের…

নভেম্বরের ঘটনায় হঠকারী জাসদ

আচ্ছা শুরুতেই যদি এমন প্রশ্ন তুলি যে কেন ৪১ বছর পরে আমরা ১৯৭৫ সালের নভেম্বর নিয়ে আলোচনা করবো ? কেন এখনো প্রাসঙ্গিক সেই রক্তাক্ত আর সেনা বিশৃংখলার নভেম্বর! একটি নতুন ধরনের টক শো করবো, নতুন টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজে। গতানুগতিকতার বাইরে কিছু করার উদ্দেশ্যই ছিল। তাই একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ধারাবাহিক আলোচনা। আর আলোচনা শেষে একটি উপসংহারে পৌঁছানোর চেষ্টা। প্রথমে "বামপন্থী রাজনীতির উত্থান-পতন"। আর পরের বিষয়টিই ছিল "৭৫ এর নভেম্বর, ঘটনা-রটনা"। আট পর্বের আলোচনা করলাম । কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে অনেক কিছুই বাকী থেকে গেলো।আমরা জানি…