চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

৭০’র নির্বাচন থেকে স্বাধীনতা

গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি এক হতে থাকে স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠায়। সেই স্বপ্নে ৭০ এর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণরায় দেয় মুক্তিকামী বাঙালি, যে বিজয়ের পথ ধরে মুক্তিযুদ্ধ। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে উচ্ছেদ আইয়ুব খানের জায়গায় আসা জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ধারণা ছিল জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।দাবি পূরণে নির্বাচন হলেও শাসন যন্ত্রের লাগাম সামরিক বাহিনীই ধরে রাখতে পারবে। কিন্তু তার আশা পূরণ হয়নি। পূর্ব বাংলার ১৬৯টির মধ্যে ১৬৭ আসনে নৌকার জয়ে পুরো…

৬৯’র গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ

আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই তাঁর মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে ছাত্রসমাজ। ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তারা। ছাত্রদের পক্ষে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এলে আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে; মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু, পতন হয় আইয়ুব সরকারের।১৯৬৮ সালে আগরতলা মামলায় গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিল ছাত্র সংগঠনগুলো। পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদে ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ মানুষ।রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে ৬৯ সালের…

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে গণঅভ্যুত্থান

স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ৬ দফা নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পাকিস্তান সরকার বেছে নেয় ষড়যন্ত্রের পথ। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত বাঙালি শুধু তাকে মুক্তই করেনি, আইয়ুবের শাসনের ও অবসান ঘটায়।বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি উত্থাপনের পর থেকে একনায়ক আইয়ুবের একের পর এক ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েন বাঙালির প্রিয় নেতা শেখ মুজিব।তিনিসহ অন্যরা মিলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন- এমন অভিযোগ এনে ১৯৬৮ সালের…

বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা থেকে মুক্তিযুদ্ধ

শরীফ কমিশনের বিপক্ষে শিক্ষা আন্দোলনের পর থেকেই বাংলার ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ একনায়ক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো বেশি বদ্ধপরিকর হতে থাকে।৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের পরও আইয়ুব খান স্বৈরশাসনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় শোষণ চালিয়ে যেতে থাকে। ততোদিনে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রধান নেতা হয়ে উঠছেন শেখ মুজিবুর রহমান।স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তান সরকার তা প্রত্যাখ্যান করলে সম্মেলন বর্জন করেন শেখ মুজিব।পরে ৬ দফা দাবির পক্ষে জনমত গড়ে…

যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের ধারাবাহিকতায় ৭০-এ আওয়ামী লীগের জয়

রাজনীতি, শিল্প-সংস্কৃতি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে স্থায়ী ও গুণগত প্রভাব রেখেছিলো ৫২’র ভাষা আন্দোলন। মুসলিম লীগকে মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট।৫৪’র নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটিয়ে যুক্তফ্রন্ট একচেটিয়া বিজয় অর্জন করে। এ জয় অনুপ্রেরণা যোগায় স্বাধিকারের আন্দোলনে।৫২’র ভাষা আন্দোলনের পরও পূর্ব বাংলার সম্পদ কেড়ে নিয়ে কত তাড়াতাড়ি পশ্চিম পাকিস্তান গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টায় ব্যস্ত তখন মুসলিম লীগ সরকার। সেসময় নির্বাচনে মুসলিম লীগকে পরাজিত করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট।…

বায়ান্ন’র চেতনায় ১৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ

১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর বেগবান হতে থাকে ভাষা আন্দোলন। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে রক্তের বিনিময়ে ভাষার অধিকারের যে অর্জন, সেই চেতনাকে ধারণ করে ১৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ।বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের চ্যানেল আইয়ের বিশেষ আয়োজন ‘যেভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ’-এর চতুর্থ পর্বে চেতনার সেই আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।একনায়ক জিন্নাহর মৃত্যুর পরও পাকিস্তান সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোভ, ষড়যন্ত্র ও রক্ষণশীলতায় অতীষ্ঠ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রসংগঠনগুলো যখন সাধারণ মানুষকে নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে, সেসময় ১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি পল্টন…

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে মুক্তিসংগ্রাম

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ছাত্রসমাজ ‘না’ বলে দেয়ার পর সংগঠিত হতে থাকে রাজনৈতিক শক্তি। প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ যার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম।পাকিস্তান জন্ম নেয়ার পর মুসলিম লীগ সরকার যখন পূর্ব বাংলার মানুষদের সঙ্গে কোটারি, কুশাসন, অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে তখন শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতারা মিলে সিদ্ধান্ত নেন নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকা রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ, যা পরে হয় আওয়ামী লীগ।…

যে আক্রমণে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রথম আক্রমণ চালায়। নারায়ণগঞ্জের গোদানাইল এবং চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তেলের ডিপোতে এ দিন সফলভাবে অভিযান চালায় বিমানবাহিনী।এর মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বের আক্রমণের সূচনা হয়।৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত পর্বের সূচনা হয় এই দিনে। পাকিস্তানি বাহিনীকে অচল করতে প্রয়োজন ছিলো জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করা।১৯৭১ এর ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ও নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে তেলের ডিপোতে হামলা চালায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এর মধ্য দিয়েই পাকিস্তানি…

জিন্নাহর বক্তব্যে ছাত্রসমাজের ‘না-না’ ছিলো বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ

পাকিস্তান জন্ম নেয়ার চার মাসের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা, আর ছাত্রলীগের যাত্রা শুরুর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে খোদ গভর্নর জেনারেলকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান। সেদিন মুহম্মদ আলী জিন্নাহর বক্তব্যে ছাত্রসমাজ যে ‘নো-নো’ ধ্বনি তুলেছিলো, সেটাই ছিলো পাকিস্তানকে বলা বাঙালির প্রথম ‘না’।সময়টা ছিল ১৯৪৮ সালের, মার্চ মাস। ২১ তারিখ এখনকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান আর তখনকার রেসকোর্স ময়দানে নাগরিক সংবর্ধনায় এবং ২৪ তারিখ কার্জন হলে বিশেষ সমাবর্তনে একনায়কী স্বভাবের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ঘোষণা- ঊর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।শেখ…

কলকাতায় বিজয় উৎসবের দ্বিতীয়দিন

বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী উৎসবের শনিবার ছিল দ্বিতীয়দিন। বিকেল চারটায় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ডেপুটি হাই-কমিশনার তৌফিক হাসান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল মান্নান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন তারা। কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে পাঁচ দিনের উৎসবে থাকছে আলোচনা, সংবর্ধনা, সংগীত এবং নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক…