চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং
Channelionline.nagad-15.03.24

মুক্তিযুদ্ধে কলকাতা

মায়ের সমাধি আর বঙ্গবন্ধুর মাজার দেখতে চান ক্যাপ্টেন সুধাংশু

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে যৌথবাহিনীর অংশ হিসেবে আত্মাহুতি দিয়েছে দেড় হাজারের বেশি ভারতীয় সৈন্য। গেরিলা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।তাদের একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সুধাংশু ভূষণ দত্ত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নোয়াখালীতে নিজের মায়ের সমাধি আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার দেখার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন প্রায় শতবর্ষী সুধাংশু।দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা এলাকায় সাতচল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে জিইয়ে রেখেছেন ক্যাপ্টেন দত্ত। বাংলাদেশেই জন্মেছিলেন…

জাতীয় চার নেতার পরিবারের ঠিকানা ছিল নীহার রঞ্জনের বাড়ি

পুরো কলকাতা শহরটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক প্রামাণ্য দলিল। এই শহরেই খুব নীরবে বাস করছেন এমন কিছু মানুষ যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজী রেখে কাজ করেছিলেন বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য। তাদের একজন ৯৬ বছরের নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী।মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ ছাড়াও দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং কর্মকর্তাদের যাবার জন্য সেদিন ২৫টি গাড়ী সরবরাহ করেছিলেন নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী। কলকাতায় মওলানা ভাসানীর একমাত্র সংবাদ সম্মেলনটিও হয়েছিল তার বাড়িতেই।নীহার রঞ্জনের জন্ম বাংলাদেশের নোয়াখালীর…

মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তাদের অবদান স্বীকৃতির অনুরোধ

১৯৭১ সালে কলকাতার কাছে নদীয়া জেলায় আশ্রয় নেয় ২২ লাখ বাংলাদেশি। কলেরায় মারা যায় প্রায় দশ হাজার মানুষ। ওই শরণার্থী ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন নদীয়ার তৎকালীন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দীপক কুমার ঘোষ। কোনো পুরস্কার নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মকর্তাদের অবদানের স্বীকৃতির অনুরোধ তার।নিভৃতে থাকা দীপক কুমারকে খুঁজে পেয়ে জানা গেল যুদ্ধ সময়ে ভিটেবাড়ি ছাড়া স্বজন হারানো মানুষদের বিভীষিকার চিত্র। সীমান্তে তখন কাঁটা তার নেই, খুলে দেয়া হয়েছে ভারতের সব সীমান্ত এপারের মানুষ কেবল ছুটছে বাঁচার আশায় ওপারের দিকে।সাবেক জেলা…

জাতীয় চার নেতা যেখানে থাকতেন কেমন আছে সেইসব বাড়ি

১৯৭১ সালে যখন জনযুদ্ধে বাংলাদেশ, তখন মুজিবনগর সরকারের কাজকর্ম পরিচালিত হতো কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বাংলাদেশের জন্মকথার অফুরন্ত ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল বহন করছে শহর কলকাতা। কেমন আছে সেইসব বাড়ি যেখানে থাকতেন জাতীয় চার নেতা, যেখান থেকে চলতো বাংলাদেশ সরকারের সব কার্যক্রম?বাংলাদেশের জন্মে শ্রেষ্ঠতম সাক্ষী হয়ে থাকা কলকাতার এই ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ালেন সেই সময় যুদ্ধমাঠের খবর আনা আনন্দবাজারের সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশ গুপ্ত। বরিশালের ঝালকাঠিতে জন্ম নেয়া সুখরঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু কলকাতার বুকে…

স্বাধীনতার মহাকাব্যের সঙ্গে যে শহরের পরিচয় ইতিহাসে বাঁধা

পাকিস্তানিদের বর্বরতা আর নির্যাতনের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও শিরদাড়া টানটান করে প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করে তৎকালীন রক্তাক্ত পূর্ব বাংলা। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার জয় বাংলা স্লোগান পৌঁছে যায় ওপার বাংলার থিয়েটার রোড থেকে বালিগঞ্জ স্ট্রিট হয়ে টেরিটিবাজারে। সিটি অফ জয়ের ৯ নম্বর সার্কাস এভিনিউয়ের বাড়িতেই ১৯৭১ এর ১৮ এপ্রিল উড়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের প্রায় সকল কার্যক্রমই পরিচালিত হয়েছিল কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ইতিহাস বলছে, যুদ্ধের সময় কলকাতায় অবস্থিত পাকিস্তান উপ-দূতাবাস শুরু থেকে…