“১৯৬৭ সালে বলেছিলাম আমাদের মনের ভেতর আবর্জনা জমেছে। ফলে বাঙালিয়ানা বিলীন হচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাঙালির স্বাধিকারবোধকে উজ্জীবিত করতে হবে। সেজন্যই এই বর্ষবরণের আয়োজন।” বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছায়ানটের অনুষ্ঠান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সনজীদা খাতুন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সনজীদা খাতুন বলেন, ‘বর্ষবরণের রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তথা বাঙালিয়ানাকে তুলে ধরার মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ছায়ানট ছিল নীরব দ্রোহ।
এবারের আয়োজন নিয়ে লাইসা আহমেদ লিসা জানান, “বর্ষবরণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন ও সঙ্গীতায়োজন। আমাদের দ্বিতীয় আয়োজন হবে আগামী ৩১ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় ছায়ানট ভবনে।” এতে নববর্ষ উদযাপন অভিযাত্রার স্মরণিক প্রদর্শনী, মিলনায়তনে থাকবে নৃত্য, শুদ্ধসঙ্গীত, পাঠাবৃত্তি ও গান। তৃতীয় অনুষ্ঠান ৭ এপ্রিল থাকবে বঙ্গাব্দের বিশেষ বর্ষপঞ্জি প্রকাশ, সেমিনার ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। ১৩ এপ্রিল হবে চতুর্থ অনুষ্ঠান। এতে ২০০১ সালে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নিহত নিরীহ দর্শক-শ্রোতাদের স্মরণ করা হবে কথা, গান ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে।
বাংলা ১৪২৪- এর প্রথম প্রভাতের ভোর ৬টা ১০ মিনিটে সরোদে রাগালাপ দিয়ে নতুন বাংলা বছরের আবাহন শুরু হবে। এবারের আয়োজনের বিষয় থাকবে, আনন্দ, বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও অসাম্প্রদায়িকতা। সব মিলিয়ে দুই ঘণ্টা গান ও পাঠাবৃত্তির সজ্জা। ছায়ানটের সভাপতি সনজিদা খাতুনের শুভেচ্ছা কথনের পর পরিবেশিত হবে বাংলার লোকসংস্কৃতির পালাগান দিওয়ানা মদিনা। এবারের আয়োজনে অংশ নেবেন প্রায় চারশত শিল্পী। রমনার বটমূলে এবারের আয়োজনে শব্দ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা দিচ্ছে ব্লুজ কমিউনিকেশান।
প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা যাবে www.chhayanaut.org ও www.maatrika.tv তে।
ছবি: তানভীর আশিক