দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। তবে দক্ষিণ ও মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা নদী সংলগ্ন জেলাগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো দুই দিন সময় লাগবে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, এখন পর্যন্ত বন্যায় দেশের ৩১টি জেলায় ৫১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ‘কাবিটা’, ‘টিআর’ এবং ‘ইজিপিপি’ কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতি কাটানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
পদ্মা সংলগ্ন জেলা মানিকগঞ্চ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে পদ্মায় পানি কমতে শুরু করছে। তবে, ধীরে হলেও ঢাকার চারপাশে ৫টি নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। তারপরও দুই-তিন দিনের মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি আশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নিবার্হী প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ হোসেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৮ সালের বন্যায় তিন বড় নদীতে একই সময়ে পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে দেশের ৬১ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। আর ১৯৯৮ সালে প্লাবিত হয়েছিলো ৬৮ শতাংশ এলাকা। চলতি বছর উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ ও মধ্য দক্ষিণে এখন পর্যন্ত ৩১ জেলা বন্যা আক্রান্ত।
এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ লাখ মানুষ। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার সাতশ ৩২ হেক্টর ফসলি জমি, আংশিক ৫ লাখ হেক্টর। এছাড়া ৭৫ হাজার বসতবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৫ লাখ ১০ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়ক পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে ২২০ কিলোমিটার আর আংশিক প্রায় ৮৪ হাজার কিলোমিটার এবং ২২৫টি ব্রিজ কালভার্ট। ৪৩ হাজার টিউবওয়েলও ব্যবহার অযোগ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিশুদ্ধ খাবার পানির উৎস।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, দিনাজপুর জেলা। দিনাজপুরে দীর্ঘদিন বন্যার অভিজ্ঞতা না থাকায় এই জেলায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।