চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চট্টগ্রামে আবারও পাহাড় ধসের শঙ্কায় লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে আবারো চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড় ধসের আশঙ্কা কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়িগুলো থেকে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এলাকা পরিদর্শনে এসে চট্রগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্ললুর রহমান চৌধুরী এসব কথা জানান।

এরআগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে পাহাড় ধসের আশঙ্কা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা জারি করেছিল। এরপরে শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় ধসে একই পরিবারে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়ার ঘটনা ঘটে। অাহত হয়েছে আরও চারজন।

পাহাড় ধসে নিহতরা হলেন, রাবেয়া (২৬), তার মেয়ে সামিয়া (৭) ও লামিয়া (২), বিবি ফাতেমা (৩৫) এবং মো. ইউনুস।

এ বছর বান্দরবান খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড় ধসে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়।তবে অবিরাম বর্ষণে এ বছর পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাঙামাটি।
রাঙামাটিতে ১০৫ জন, চট্টগ্রামে ৩৬ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, বান্দরবানে ৮ জন ও কক্সবাজারে ২ জন পাহাড় ধসে নিহত হয়।এর মধ্যে কর্মকর্তাসহ ৪ সেনা সদস্যও রয়েছেন। সেনা সদস্যরা উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে নিহত হন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি এলাকায় গত বিশ বছর ধরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোর ছত্রছায়ায় পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই এলাকাটি নিম্ন আয়ের লোকদের বসতি করে স্থানীয় নেতারা ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে। পাহাড় কেটে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে এই এলাকায় এইসব বসত নির্মাণ করা হয়।