চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তারকাদের ভালোবাসার গল্প

পর্দায় ভালোবাসার গল্পে এক একটি চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অভিনয়শিল্পীরাও যে বাস্তবজীবনে কখন ভালোবাসাবাসিতে পড়ে যান, তা অনেক সময় নিজেরাও টের পান না। এই ভালোবাসাটা কখনো  তার সহ-শিল্পীদের উপর পরে, কখনোবা একদম বাইরের দুনিয়ার মানুষের উপর। তবে যার উপরই দূর্বল হোন না কেন, তারকাদের জীবনেও আসে প্রেম এবং বিয়ের পর্ব। সেই পর্বগুলো নিয়ে তাদের ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। ব্যক্তিগত জীবনের সেই ভালবাসাবাসির গল্পগুলো তাদের জবানিতে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

সারা যাকের, নাট্যব্যক্তিত্ব

আলী যাকের ও সারা যাকের

আমার সঙ্গে আলী যাকেরের প্রেমের সম্পর্কটা তো বেশ আগের। তখন ভালোবাসা তো আর এ সময়ের মত ছিল না। আমরা তখন চুপিসারে একে অপরকে নিজের প্রিয় জিনিস গিফট করতাম। দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ তখন ছিল খুব কম। তাই ইংরেজিতে বেশ কৌশল করে চিঠি লিখতাম আলী যাকেরকে। তার সুন্দর হাতের লেখায় মুগ্ধ হতাম আমিও। জবাব দিতেন খুব মজা করে। এভাবে কিছুদিন প্রেম করার পর আলী যাকের নিজেই আমাদের বাড়িতে বিয়ে প্রস্তাব নিয়ে আসে। এর পর বিয়ে হয় দুজনার।’ এখনকার প্রেমিক যুগলকে উদ্দেশ করে সারা যাকের বলেন, ‘ভালোবাসায় শ্রদ্ধাবোধ আর বিশ্বাস থাকা খুব জরুরি। নতুন প্রজন্মকে বলব, ভালোবাসায় শ্রদ্ধাবোধ আর বিশ্বস্ততার জায়গাতে স্বচ্ছ থাকতে চেষ্টা করো। মনের মানুষকে মন দিয়েই ভালোবাসো, স্বার্থ দিয়ে নয়।

 

রিয়াজ, অভিনয়শিল্পী

রিয়াজ ও টিনা

টিনার সঙ্গে আমার পরিচয় কাজের সূত্র ধরেই। নাচের এক অনুষ্ঠানে। আমরা একসঙ্গে পারফর্ম করেছিলাম। সেখান থেকে পরিচয়, অতঃপর প্রেম। প্রেমের প্রকাশ আসলে কোন দিক থেকে আগে হয়েছিল, এটা বলা মুশকিল। আমার তো মনে হয়, আমরা দুজন দু’ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি একে অপরকে ভালোবাসি। যেহেতু প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম দুজনেই, তাই প্রকাশ করার তাগিদ ছিল দুজনারই।

আমাদের সময়টাতে এখনকার মতো এত ব্যাপকভাবে ভালোবাসা দিবস পালন হতো না। আর আমরা কাজের ব্যস্ততায় পালন করার সুযোগও পাইনি। তবে হ্যাঁ, ওর সঙ্গে প্রতিদিনই ফোনে কথা হতো, মাঝে মধ্যে দেখাও হতো। আর ফুল, চকোলেটসহ নানারকম গিফট দেওয়া-নেওয়া তো হতোই।

 

জাহিদ হাসান, অভিনেতা

জাহিদ হাসান ও মৌ

আমরা দুজন প্রথম কাজ করেছি একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে।‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে…’ গানের সঙ্গে দুজনেই পারফর্ম করি। আর সে সময়ই অর্থাৎ শুটিংয়ের সময় থেকেই আমাদের দুজনের মনে দুজনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। হয়তো গানের কথার কারণেই প্রেম একটু দ্রুত জেগে ওঠে। সমস্যা হচ্ছে, আমার শাশুড়ি তখন কিছুতেই আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিতে পারছিলেন না। অনেক যুদ্ধ করে মৌকে ঘরে তুলেছি। আমি মনে করি, এখনো আমরা ব্যক্তিজীবনে সফল জুটি। আমাদের ভালোবাসায়  দুজন দুজনের প্রতি বিশ্বাস, সম্মান, শ্রদ্ধা আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভালোবাসা  নিয়ে আমার চিন্তা সরলরৈখিক। মানুষের মৌলিক হৃদয়বৃত্তিই ভালোবাসা । ভালোবাসার কোনো শ্রেণি নেই, থাকা উচিত নয়। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা উচিত ৩৬৫ দিনই।

মোশাররফ করিম, অভিনেতা

মোশাররফ করিম ও জুঁই

জুঁইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০০০ সালে। সে সময় আমি জুঁইদের বাসার সামনের গলির একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতাম। সেই কোচিং সেন্টারেই জুঁইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। তবে পরিচয়টা কিন্তু ভালোলাগা কিংবা ভালোবাসা  কোনো অবস্থানেই ছিল না। কারণ জুঁইয়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় আমার ছাত্রী হিসেবেই। এইচএসসি পাস করার পর জুঁই আমার সঙ্গে একই কোচিং সেন্টারে পড়ানো শুরু করে। আমার ভালোলাগাটা তখন থেকেই শুরু। আমিই প্রথম প্রস্তাব দিই। জুঁই তা  ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু কী মনে করে যেন পরে আবার রাজি হয়। প্রেম চলতে থাকে। জানাজানি হলে আমার বাড়ি বরিশাল হওয়ায় ওর পরিবার প্রথমে রাজি হয় না। কিছুদিন পর রাজি হয়। বিয়েতে আমরা এখনো আগের মতোই সুখী। এখনো আমরা দুজন দুজনকে আগের মতোই ভালোবাসি। ’

নিরব, অভিনয়শিল্পী

নিরব ও তাসফিয়া

তাশফিয়ার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই চেনাজানা ছিল। অবশ্য শুরুতেই ভালোবাসা  হয়নি। পরিচয় থেকে প্রেমে পৌঁছতে কিছুটা সময় তো লেগেছেই। তবে নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না কবে থেকে প্রেম শুরু। আমরা একটু তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলি। অনেকের কাছেই শুনি ভালবাসার জন্য আবার বিশেষ দিবস কী। প্রতিদিনই তো ভালোবাসার দিন। কথা ঠিক। তবে আমি মনে করি, প্রতিদিন ভালোবাসা  থাকলেও প্রতিদিন তো আর ভালবাসা বলা হয়ে ওঠে না। এদিন একটু ঘটা করে ভালোবাসি বললে ক্ষতি কী!