রাহাত হোসাইন: অপহরণের ৭ দিন পর মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরচর খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ওবায়দুলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী মারুফ নামের মূল হোতাকে আটক করেছে পুলিশ। মারুফের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ ওবায়দুলের মরদেহ পদ্মা নদীর বিলের একটি মাছের ঘের থেকে সোমবার ভোরে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলার শিবচরের মাদবরচর খাড়াকান্দি গ্রাম থেকে খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ওবায়দুল চোকদার নিখোঁজ হয়। শিশু ওবায়দুল নিখোঁজের পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় একটি মোবাইল নম্বর থেকে ওবায়দুলের বাবা রতন চোকদারকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের ১ লক্ষ টাকা দাবী করে।
এরপর থেকেই ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর পরিবারটির পক্ষ থেকে শিবচর থানায় জিডি করা হলে কললিস্টের সুত্র ধরে পুলিশ কৌশলে পাশের বাড়ির মারুফ চোকদার নামের যুবককে রোববার রাতে আটক করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যানুযায়ী সোমবার ভোররাতে মাদবরেরচর এলাকার পুরাতন জাহাজঘাট এলাকার নদীর মধ্যে মাছের ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওবায়দুর উপজেলার মাদবরের চর ইউনিয়নের পূর্ব খাড়াকান্দি গ্রামের রতন চোকদারের ছেলে। সে খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ আরও জানায়, পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে মারুফ, তার বাবা ফরিদ চোকদার ও মোহাম্মদ মুন্সী এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে আটক মারুফ পুলিশকে নিশ্চিত করেছে।