বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এ উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ১৯৬২ সালে যাত্রা শুরু করা এই বিভাগটির করিডোর। তাদের এই পদচারণায় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলায় রূপ নেয় এ অনুষ্ঠান।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এ শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দিয়ে লেকচার থিয়েটার ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
‘সত্যের সন্ধানে ব্রতী, সদা জাগ্রত’ আমরা প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন এই বিভাগের শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার প্রধান বক্তা ছিলেন জেষ্ঠ্য সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিভাগের শিক্ষক এবং প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, অধ্যাপক আখতার সুলতানা এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফরিদা ইয়াসমিন।
মানব কল্যাণ ও সত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার জন্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমে সত্যের অপলাপ ও ফরমায়েশি সাংবাদিকতা কাম্য নয়। সমাজ, দেশ তথা মানব সভ্যতাকে অপসাংবাদিকতা কলুষিত করে।
শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, তার ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণে যোগাযোগের সকল তত্ত্বের প্রয়োগ ছিল।
বন্ধবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সত্যনিষ্ঠ ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মিথস্ক্রিয়া: মাধ্যম ও প্রতিপাদ্য’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন গণমাধ্যম বান্ধব মহান রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেন। কারো সঙ্গে তিনি রুঢ় আচরণ করেননি। এমনকি তার বিরুদ্ধে যারা কলম ধরেছিলেন, তাদেরকেও তিনি অসম্মান করেননি।
অনুষ্ঠানে বিভাগের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া, পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।