চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৫৪ ধারা নিয়ে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে
নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে পূর্ণাঙ্গ রায়
দেবেন তার আলোকে সরকার পদক্ষেপ নেবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল
কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের সংবিধানে যে কিছু অনুচ্ছেদ আছে, ৩১, ৩৫ বা মানবাধিকার সংক্রান্ত যেগুলো অনুচ্ছেদ আদালতের অভিমত হলো কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসেডিউর, এভিডেন্স এ্যাক্ট বা আমাদের পুলিশদের কাজ করা সংক্রান্ত যে আইন আছে পিআরবি, এ সমস্ত আইনগুলি আর সংবিধান পরিপন্থী হয়ে যাচ্ছে।

সুতরাং হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন সে রায়টি ছিল কিছু মন্তব্য বা কিছু রিকমেন্ডেশন, সাংবিধানিক যে বিধি-বিধান তার আলোকে এই ফৌজদারি কার্যবিধি এভিডেন্স এ্যাক্ট ইত্যাদি এগুলোকে সংশোধন করা, প্রয়োজন বলে মনে করে নিদের্শনা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিল করা হয়েছিল সে আপিল আজকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং আপিল বিভাগ এ বিষয়ে নিজেরাই কিছু রদ বদল করবেন বলে উল্লেখ করেছেন। আপিল বিভাগের রায়ের পর্যন্ত এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

মাহবুবে আলম বলেন, বর্তমান সামাজিক বাস্তবতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আদালত রায় দেবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দেশে মানুষকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিক ও চিকিৎসককে তাদের মতাদর্শের কারণে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পিছনে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। আর গ্রেফতারের বিষয়েও হাইকোর্টের কিছু নির্দেশনা ছিল।

তিনি বলেন, আগে থেকে মামলা করে সব সময় আসামিকে ধরা সম্ভব নয়। এ কারণে ৫৪ ধারায় আসামি গ্রেফতার করা হয়। যদি তা না করা হতো তবে আসামি পালিয়ে যাবে, যেটি হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধী বাচ্চু রাজাকারের ক্ষেত্রে। আদালত তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে একটি ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু বাচ্চু রাজাকার তা জানতে পেরে পালিয়ে যায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরতে পারেনি। আমি মনে করি সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ রায় দেবেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে অনেককে শত্রুতাবশত গায়েব করে ফেলা হচ্ছে। আর পরিচয় দেওয়া হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সাদা পোশাকের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আসামির গতিবিধি লক্ষ্য রাখা। কবে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে তাদের পরিচয় দিতে হবে, ইউনিফর্ম অবস্থায় থাকতে হবে।