বাঙালি জাতির ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কালো দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে সরকারি ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির খানের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ২৪ বছর আগে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালোরাত্রি হিসেবে পালনের জন্য যে আলোর মিছিলের সূচনা করেছিলেন তা সংগঠনটির পক্ষ থেকে অব্যাহত রাখা হয়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’-র আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য প্রচার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের কথাও বলা হয়।
“কারণ পশ্চিমের শক্তিধর দেশগুলো সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখনও বাংলাদেশের গণহত্যাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় নি। বাংলাদেশ সরকারও ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেনি। ”
আর্মেনিয়ার গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সে দেশের সরকার ও জনগণকে প্রায় ১০০ বছর প্রচার অভিযান চালাতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ৪৫ বছর উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে ৪৫টি মশাল প্রজ্জ্বলন এবং মোমের আলোর মিছিল নিয়ে জগন্নাথ হলের বধ্যভূমিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
একাত্তরের গণহত্যাকে রাষ্ট্রিয় ভাবে স্বীকৃতি না দেয়ায় খুব সহজেই ডেভিড বার্গম্যান, বেগম খালেদা জিয়া, গয়েশ্বর রায়, ফরহাদ মাজহার ছাড়াও অনেকে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সাহস পায় এবং বিষয়টিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেও মন্তব্য করা হয়।
“এর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধে দায়ী সংগঠন জামায়াত ইসলামী এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিচার কাজের যৌক্তিকতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত হবে, যা বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কারনে সম্ভব হচ্ছে না।”