ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি অফিস পাড়ায় অথচ ঈদের আসল খুশি যাদের, সেই শিশুরাই এখন ব্যস্ত বই-পুস্তক নিয়ে। কারণ ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে পরীক্ষা। ঈদের খুশি তাই এবার ম্লান হয়েছে পরীক্ষার চিন্তায়।
মানসিক প্রস্তুতির সময় না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের হতাশা এবং অভিভাবকদের ক্ষোভ তুলে ধরেছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন আহমদে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এক মাস ছুটি শেষে ১০ তারিখ স্কুল খোলা আর ১১ তারিখ থেকে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে!
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সঙ্গত কারণেই তা অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। হতাশ শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষার এই রুটিনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি।
পরীক্ষার জন্য মানসিক প্রস্তুতি একটা বিরাট বিষয়। পরীক্ষার এমন নজিরবিহীন শিডিউলে শিক্ষার্থীরা একটু চাপমুক্ত হয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে, না সকাল সন্ধ্যা পড়ার টেবিলে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবে, সেই দিকটা চিন্তা করার মত উদারতা দেখায়নি, আমাদের শিক্ষা-কর্তারা!
যদিও এসব কর্ম-কর্তারা হরহামেশাই শিশুদের শিক্ষাদানের সাথে চিত্তবিনোদন ও মানসিক চাপমুক্ত রাখার উপর নানান খেয়ালে সকালে বিকালে উপদেশ নসিহত করেন। বড় বড় বাজেটে শিক্ষকদের নিয়ে এ সংক্রান্ত অত্যন্ত সুশীলটাইপ সেমিনার-সিমপোজিয়ামও করেন।
এবারের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার শিডিউল সিদ্ধান্ত যারা করেছেন, তারা কি উল্লেখিত ‘সেমিনার-সিমপোজিয়াম’র ভাষা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন? নাকি এখানেও কেবল খামখেয়ালিপনা ছিল মাত্র?’