হায়দরাবাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। সেই ৭০-৮০’র দশকের। ওই সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে খুব কম মানুষই ছিলেন যারা এ দেশের ক্রিকেট নিয়ে মাথা ঘামাতেন। আর পি মানসিং তেমনই একজন। তখনকার ‘ডেকান হায়দ্রাবাদ ব্লুজ’ নিয়ে চারবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন মানসিং। অজিত ওয়াদেকার, ভগত চন্দ্রশেখর, সৈয়দ কিরমানির মতো ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে খেলতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচে বড় সাপোটার্স গ্রুপ ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোটার্স এসোসিয়েশন’-বিসিএসএ। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি মানসিংকে এদেশের ক্রিকেটের পক্ষ থেকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনটি। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের এই ম্যানেজারের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিএসএ আজীবন সদস্য মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ও খোরশেদ আলমগীর।
হায়দরাবাদে এসময় মানসিং বলেন, ‘আমি চাই অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এর মতো বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়মিত ভারতে এসে খেলুক। হায়দরাবাদে খেলার সব ব্যবস্থা আমি নিজে করবো। এভাবে নিয়মিত খেললে ক্রিকেটের মাধ্যমে দুদেশের বন্ধুতা আরও মজবুত হবে।’
মানসিং তাঁর লেখা ‘ক্রিকেট বিরিয়ানি: দি হিস্ট্রি অব হায়দরাবাদ ক্রিকেট’ বইটি বিসিএসএ’কে উপহার দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি বিসিএসএ’র কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে অনেক আনন্দিত। বাংলাদেশের সমর্থকরা এভাবে আমাকে সম্মানিত করবে সেটি কল্পনাও করিনি। আমি ঢাকায় গেলে তোমাদের সাথে আবারো দেখা করতে চাইবো। আমার চাওয়া বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট সম্পর্ক আরো এগিয়ে যাক। এজন্য যতোটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা আমি করবো। আশা করি বাংলাদেশের ক্রিকেট তার উন্নতির ধারা বজায় থাখবে।’
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন যোগাতে ভারতে যায় বিসিএসএ।