লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এবার শিশুসহ নুর বানু(২৮) নামে এক মা নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতালটির পক্ষ থেকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হামজা আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মা ও শিশুর কোন সন্ধান দিতে পারেনি।
চুরি হওয়া গৃহবধূ নুর বানু কালীগঞ্জ উপজেলার মালগাড়া বালাটারী এলাকার এনামুল হক রেয়াজুলের স্ত্রী এবং আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বিভার গ্রামের জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় ও থানায় দায়ের করা জিডি থেকে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার নুর বানুকে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ রোববার দুপুর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে রোববার দিবাগত রাতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হামজা বাদী হয়ে রোগী নুর বানু নিখোঁজের বিষয়টি আদিতমারী থানায় সাধারন ডায়েরী(৮৮) করে। কিন্তু ডায়েরি করার দু’দিন অতিবাহিত হলেও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিখোঁজ গৃহবধূ নুর বানু’র বাবা জয়নাল উদ্দিন জানান, যৌতুকের দুই লাখ টাকা আর একটি মোটর সাইকেলের বায়না ধরে নুর বানু’র স্বামী এনামুল হক রেজাউল। এ টাকা না পেয়ে নুর বানুকে নির্যাতন করত স্বামী ও শাশুড়ি।
বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হলেও স্থানীয়দের বৈঠকে মুচলেকা দিলে মামলা তুলে নেন নুর বানু। এর কিছু দিন না যেতেই আবারও নির্যাতনের খড়গ চলে নুর বানু’র উপর। ২০ মার্চ রাতে রশি দিয়ে বেঁধে বেধম মারপিট করে নুর বানুকে।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নুর বানুকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ২৩ মার্চ পার্শ্ববর্তী আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এ হাসপাতাল থেকে চুরি হয় নুর বানু ও তার ছোট শিশু।
নুর বানু’র বাবা জয়নাল বলেন, ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে আসামীরাই তার মেয়ে নুর বানুকে শিশু সন্তানসহ চুরি করে অপহরণ করেছে।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হামজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চুরি হওয়া রোগী ও শিশুর সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, নুর বানু হাসপাতাল থেকে নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করা হয়েছে।