শাহেদ আলী। মঞ্চনাটক, বড় পর্দা, ছোট পর্দা সব জায়গাতেই যার উপস্থিতি। কাজ করেছেন তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ ছবিতে। এর আগেও কাজ করেছেন তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতে। সোমবার কথা হলো তার সঙ্গে। ‘হালদা’ তে কাজের অভিজ্ঞতা চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে শেয়ার করলেন তিনি।
কেমন আছেন?
ভালো আছি।
‘হালদা’য় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ভীষণ ভালো। তৌকির আহমেদের সঙ্গে কাজ করা অনেক আনন্দের। সম্ভাবনাকে নতুন করে জানতে সাহায্য করেন তিনি। আর কাজ করেনও বেশ ধরে ধরে।
‘হালদা’য় আপনার চরিত্রটি কি ছিল?
‘হালদা’য় আমার চরিত্রের নাম ‘নিরঞ্জন’। যে একজন মৎস্যজীবী। নিম্ন শ্রেণীর জেলে। অভাব, দরিদ্রতা যার নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সময়ের আবর্তনে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। তারপর সে কুচক্রী হয়ে উঠতে থাকে। ফলে তার কমিউনিটির সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এককথায় তার জীবনে স্বস্তি, শান্তি বলতে কিছু থাকে না। এভাবেই ছবির গল্প এগিয়ে যেতে থাকে।
একই পরিচালকের ‘অজ্ঞাতনামা’র পরে ‘হালদা’ টিমের সদস্যদের সাথে কতখানি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন?
‘অজ্ঞাতনামা’ টিমের অনেকেই আবার ‘হালদা’ তে আছেন। নতুন অনেকেও যোগ হয়েছেন। জাহিদ হাসান, দিলারা জামান, তিশা ইনারা নতুন করে যোগ হয়েছেন। তাদের নিয়ে আমি একটা কথাই বলতে চাই, তারা প্রত্যেকেই একেকটা ইনস্টিটিউট। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি। কাজের বাইরে তো এক হওয়ার সুযোগ আমাদের খুব কম হয়। তাই কাজ, আনন্দ সব মিলিয়ে এককথায় দারুণ।
শুটিংয়ের কোনো মজার অভিজ্ঞতা?
আমরা জানি, হালদা চট্টগ্রামের একটা নদী। যেটা প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। আমরা তো শুটিং করেছি ‘হালদা’ পাড়ে। ছবিতে চট্টগ্রামের ভাষায় কিছু সংলাপ রয়েছে। সেখানে যখন সংলাপ বলতাম আমাদের মুখে তা শুনে শুটিং দেখতে আসা লোকজন খুব মজা পেতেন। সংলাপ বলার সময় টোন, ভাষা সবমিলিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাহায্য আমরা নিয়েছি।
আগে থেকে কি চট্টগ্রামের ভাষার কোনো প্রস্তুতি নেয়া ছিল?
হ্যাঁ ‘হালদা’ ছবির প্রয়োজনে টুকটাক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আগে থেকেই। পাশাপাশি সেটেও সহায়তা পেয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে সময় দেবার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ