হার্ভে ওয়েইনস্টাইনের যৌন লালসা থেকে রক্ষা পাননি স্বয়ং অ্যাঞ্জেলিনা জোলিও। এই হলিউড মুভি মোড়লের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে জোলি বলেন, ‘প্লেয়িং বাই হার্ট’ সিনেমাটি করার সময় হার্ভে আমার কাছ থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিল। জোলি আরও জানান, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে আমার হার্ভে উইনস্টাইনের সাথে আমার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। পরে তার সাথে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেই। আমি মনে করি, এমন আচরণ কোন দেশেই নারীর প্রতি গ্রহণযোগ্য নয়’।
এদিকে হলিউডের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় হতবাক হয়েছেন অনেকে। হার্ভের ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য ফাঁসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হলিউড তারকারাসহ রাজনীতি অঙ্গনেও।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের লেখককে ধন্যবাদ দেন মার্কিন অভিনেত্রী লিনা ডুনহ্যাম। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘যে নারীরা হার্ভে ওয়েইনস্টাইনের হয়রানি নিয়ে মুখ খুলেছেন তারা আমাদের শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবিদার। এটা মজার ব্যাপার নয়, সাহসের বিষয়।’
একই দিন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী ব্রি লারসন টুইটারে লিখেছেন, ‘সবসময়ই আমি শারীরিক লাঞ্ছনা ও হয়রানির শিকার সাহসী নারীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এটা আপনার দোষ নয়। আপনাকে আমি বিশ্বাস করি।’
হার্ভে ওয়েইনস্টাইন হলিউডের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষগুলোর একজন। চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আগ্রাসী প্রভাবের জন্য তাকে হলিউড মোড়ল বলা হয়ে থাকে। ১৯৭৯ সালে ভাই ববকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন স্বাধীন চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিরাম্যাক্স। ২০০৫ সালে তারা এটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠা করেন দ্য ওয়েইনস্টাইন কোম্পানি। তার প্রযোজিত অস্কারজয়ী ছবির তালিকায় আছে ‘শেক্সপিয়র ইন লাভ’, ‘শিকাগো’, “দ্য কিং’স স্পিচ”, ‘দ্য আর্টিস্ট’ প্রভৃতি। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের মূল দাতাদের একজন ছিলেন তিনি। সিবিসি নিউজ