বাংলাদেশ ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে শুরুর অভিযানেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১২ রানের হারের পর শুক্রবার বাংলাদেশের কাছে তাদের হার ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। মাশরাফীর দল ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললেও হাথুরুর শ্রীলঙ্কা পয়েন্টের খাতাই খুলতে পারেনি।
সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা দলকে বদলে দেবেন এমন আশায় বুক বেধে বিসিবির সমান পারিশ্রমিক দিয়ে হাথুরুকে টেনেছে লঙ্কান বোর্ড। অথচ প্রথম পদক্ষেপেই কিনা এমন হোঁচট! তারপরও অবশ্য কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না শিষ্যরা। মিরপুরের লজ্জার হারের পর দলটির সিনিয়র ক্রিকেটার থিসারা পেরেরা সংবাদমাধ্যমের সামনে ঢাল হলেন নতুন কোচের।
‘চণ্ডিকার বাংলাদেশ অধ্যায় যদি দেখেন, সে বিশ্বের সেরা কোচদের একজন। আমি তাকে জানি। তার অধীনে ২০১১ সালের দিকে ‘এ’ দলে খেলেছি। তাকে সময় দিতে হবে। কাজে যোগ দিয়েই সে মিরাকল ঘটিয়ে দেবে তা নয়। তাকে কয়েকটা কদম তো ফেলতে দিন।’
বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোনাস পয়েন্টসহ জেতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। শ্রীলঙ্কা শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে হারালেও ফাইনাল খেলতে তাকিয়ে থাকতে হবে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। এমন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও সব শেষ হয়ে গেছে ভাবছেন না পেরেরা।
‘ক্রিকেটে এমন হয়। পরের দুই ম্যাচ জিততেই হবে। আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি না। সবাই ভালভাবে ফিরে আসবে। সেদিকেই তাকিয়ে আছি।’
বোলাররা সুবিধা করতে পারেননি। বাংলাদেশ পেরোয় তিনশর কোটা। তবে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দুষেছেন থিসারা, ‘শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক কিছু ছিল। এ ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। ৩০০ রানের উইকেট ছিল। সাকিব-তামিম যেভাবে খেলছিল, একসময় মনে হয়েছে ৩৫০ করে ফেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ৩২০ রানে আমরা আটকে রাখতে পেরেছি। পরে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ক্লিক করেনি।’