সরকার বাস্তবতা বিবেচনা না করে সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলকে ‘দুর্গত’ অঞ্চল ঘোষণায় গড়িমসি করছে, অভিযোগ করে দ্রুত সুনামগঞ্জসহ-নেত্রকোণা, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের হাওর অঞ্চলকে দুর্গত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলণে সংগঠনটি এ দাবি করেছে।
সেই সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি বিএনপিকেও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে: ইউরেনিয়ামের ধুয়া তুলে ভারতে বিদ্বেষ না ছড়িয়ে আপনারাও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এরপাশাপাশি, হাওরের পানিতে ইউরেনিয়াম এবং কয়লা সংক্রান্ত সরকার যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সুজন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ কর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন: এবারই প্রথম সরকার দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বাঁধ নির্মানে অর্থ লোপাট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তবে সরকার দুর্গত অঞ্চল ঘোষণায় গড়িমসি করছে। এবারের অকাল বন্যায় বেশ কিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে। যেমন, ইউরেনিয়াম। আমরা দাবি করছি, দ্রুত যেনো ইউরেনিয়াম বিষয়ক সরকারের পর্যবেক্ষণ জনসম্মুখে আনা হয়।
বাঁধ নির্মাণে অর্থ লোপাটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রসংশা করেন তিনি। তবে সংসদ সদস্যের বাড়িতে ঠিকাদারদের লোকজনের হামলা যে অভিযোগ ওঠেছে তার প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন: ঠিকাদারের লোকজন কিভাবে একজন সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা করতে পারেন! পরবর্তী ঘটনা এবং মামলায় এটা স্পষ্ট যে, ঠিকাদারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন: অর্থ আত্মস্মাতের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে। আমরা কেনো যেনো বুঝতে পারছিনা কতো বড় ঘটনা ঘটে গেছে। প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার প্রশ্ন এখানে জড়িত। অকাল বন্যা এবং ফসল হারানোর প্রভাব মানুষের মধ্যে এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। হাওর অঞ্চলের মানুষ এখন শহরমুখি। কিন্তু, তাদের দেখা-শুনার দায়িত্ব যাদের তারা ১৮ এপ্রিল থেকে বিদেশ ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন। তবে, এসবের জন্য কারও পদত্যাগ কিংবা অপসারন নয় দুর্গত মানুষদের জন্য আরও বেশি কাজের প্রত্যাশা করেন তিনি।