শ্রীলঙ্কার স্পিন সম্রাট মুথাইয়া মুরালিধরনসহ চারজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হল অব ফ্মে এ জায়গা পেয়েছেন। এর মধ্যে একজন নারী ক্রিকেটারও রযেছেন।
বুধবার ওই চারজনের নাম ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্বাাচিত চারজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।
তালিকায় মুরালি ছাড়া রয়েছেন ১৯ শতকে ১৬ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়া ইংল্যান্ডের জর্জ লোম্যান, অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট ডন ব্র্যাডম্যানের সতীর্থ আর্থার মরিচ ও দুইবার বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কারেন রোল্টন। এর মধ্যে লোম্যান ও মরিচ বেঁচে নেই।
মিডিয়া সদস্যদের ভোটে এই চারজন হল অব ফ্মে এ জায়গা পেয়েছেন। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মান পেলেন মুরালি।
এই চারজনকেই সম্মান সূচক স্মারক হিসেবে ক্যাপ দেওয়া হবে। মুরালি ও রোলটন নিজে উপস্থিত থেকে স্মারক গ্রহণ করলেও লোম্যান এবং মরিচের হয়ে অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করবেন তার পরিবারের সদস্যরা।
২০১১ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান মুরালি। টেস্টে সর্বাধিক ৮০০ উইকেটের মালিক তিনি। ওয়ানডেতেও ৫৩৪ উইকেট নিয়ে সবার উপরে এই ঘূর্ণি জাদুকর।
টি-২০তে উইকেট পেয়েছেন ১৩টি। টেস্টে এক ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন ২২বার এবং পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৬৭বার। ১৯৯৩ সালে অভিষেকের পর লঙ্কান দলের জার্সি গায়ে জিতেছেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ও ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
উনিশের দশকে সুইং বোলাদের অন্যতম ছিলেন লোম্যান। ২৭তম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফ্রেমে জায়গা পেলেন তিনি।ওই সময়ে মাত্র ১৬ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। কিন্তু শারিরিক অসুস্থতার কারণে ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি তার। ১৮৮৬-৯৬ পর্যন্ত ১৮ টেস্টে ১১২ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। ১৯০১ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার।
১৯৪৬-৫৫ পর্যন্ত ৪৬টি টেস্ট খেলেন মরিচ। সমান ১২টি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২২তম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হল অব ফ্রেমে নাম লেখালেন মরিচ। ২০১৫ সালের আগস্টে মারা যান এই অসি ক্রিকেটার।
কারেন রোল্টন মাত্র ষষ্ঠ নারী এবং তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার হিসেবে হল অব ফ্মে এ জায়গা পেয়েছেন। ২০০৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে অভিষেক পর ১৪টি টেস্ট এবং ১৪১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন রোল্টন। টেস্টে এক হাজার দুই রানের বিপরীতে ওয়ানডেতে করেছেন ৪ হাজার ৮শ ১৪ রান। টেস্টে দুটি এবং ওয়ানডেতে আটটি শতরান করেছেন রোল্টন।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৯৯৭ ও ২০০৫ বিশ্বকাপ জেতেন এই অলরাউন্ডার।