হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
ত্রাণের জন্য হাওরাঞ্চলে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার । অধিকাংশ কৃষকের ভাগ্যেই জুটছেনা সরকারি সহায়তা। পাচ্ছেনা চাল, টাকা কিছুই। এমনকি ৮০ বছরের বৃদ্ধার ভাগ্যেও ত্রাণ মিলছেনা। সবকিছু হারিয়ে অনেক কৃষকই এখন সর্বশান্ত হয়ে বসে আছেন।
কাচা পাকা ফসল তলিয়ে গেলেও পানি কিছুটা নেমে যাওয়ায় নিজেদের খাবারের জন্য পানির নীচে হাতিয়ে ফসল তুলছেন কৃষকরা। শ্রমিকের সংকট থাকায় কৃষকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজেরাই কাজ করছেন জমিতে।
এদিকে অতিদরিদ্রদের ত্রাণ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের যাতে খাদ্যের কোন ধরনে সমস্যা না হয় এ জন্য সরকার সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানালেন এই কর্মকতা।
কিন্তু ত্রাণ অপর্যাপ্ত বলে জানায়িছেন বানিয়াচং সুবিদপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী ।
হবিগঞ্জ জেলায় ছোট বড় মোট ২৬টি হাওর রয়েছে। হাওড়গুলোর বেশীর ভাগই বানিয়াচং উপজেলায়। ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলার বিস্তৃতি। সবগুলো গ্রামের মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাদের একমাত্র ফসল বোরো ধান। এ ফসল শুধু বানিয়াচং নয়, জেলার চাহিদা মিটিয়ে তা অন্যান্য জেলারও চাহিদা পূরণ করে। এ ফসল বিক্রি করেই উপজেলার মানুষের বছরের খাওয়া দাওয়া, সন্তানের লেখা পড়া চিকিৎসাসহ সকল খরচ মিটে। কিন্তু এ বছর অকালে ভারি বৃষ্টিপাতে প্রথম দফায় খুব বেশি ফসল নষ্ট না হলেও দ্বিতীয় দফায় সব তলিয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে কৃষকরা এখন দিশেহারা। পাচ্ছেননা ত্রাণও। কৃষকদের ধারণা গত ১০ বছরের তুলনায় এবারই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সবকিছু শেষ হলেও আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চান হাওরাঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো। তারা এখন সরকারের একটু সুদৃষ্টি চান। পেতে চান সরকারের তরফ থেকে কিছু সহায়তা।