ক্লিওপেট্রার রূপের রহস্য জানার আগ্রহ সবার। তবে রূপ সচেতন নারীর জন্য সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হলো, এর পেছনে রয়েছে ছোট এক সবুজ উদ্ভিদ। প্রাকৃতিক উপায়ে সৌন্দর্যবর্ধন করে বলে এর নাম কুমারী।
বাংলায় এটি পরিচিত ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা হিসেবে। আজকাল বাড়ির ছাদে বা বারান্দার কোণে অনেকেই অ্যালোভেরার গাছ লাগিয়ে থাকেন। ভেষজ এই উদ্ভিদের রয়েছে পুষ্টিগুণও। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, বি৬,বি২ ইত্যাদি।
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালোমিনের মতো ঔষধি গুণ। এসব গুণ আমাদের শরীর, ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা ত্বকের সুস্থতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের ক্ষত, ব্রণ, তীব্র পোড়া ভাবও কমাতে সাহায্য করে থাকে। অ্যালোভেরা জেল রোদে পোড়া ত্বকের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালোভেরায় ভিটামিন সি, ই ও বেটা ক্যারোটিন থাকায় এটি বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য:
শীতের সময়টা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের আর্দ্রতা কমতে থাকে। তাই শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা জেল। সরাসরি জেলটি মুখে না দিয়ে এক চামচ হলুদ, মধু, দুধ এবং গোলাপ জলের মিশ্রণের সঙ্গে মুখে লাগাতে পারেন ২০ মিনিট।
অ্যালোভেরার স্ক্রাব:
বাজারের কেনা স্ক্রাব ব্যবহার করার চেয়ে, বাড়িতে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করুন। চালের গুঁড়োর সঙ্গে মেশাতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।তারপর স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি হয়ে উঠবে কোমল ও উজ্জ্বল।ব্রণ নিরাময়ে:
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বকের ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এমনকি নিয়মিত অ্যালোভেরার নির্যাস ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হয়।
মেছতা দূর করতে:
অ্যালোভেরার নির্যাসের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে আঙুলের ডগার মাধ্যমে আলতোভাবে ত্বকে খানিকক্ষণ ঘষতে পারেন। এতে মেছতা দাগ কমে আসবে।
ওজন হ্রাসে:
ওজন কমাতে অ্যালভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সব কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চুলের যত্নে:
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ অর্থাৎ অ্যাসিডিটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চুলকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরায় এনজাইম বিদ্যমান যা চুলে পুষ্টি জোগায়, চুল লম্বা করে।