ভূমিব্যবস্থা, উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে ১৯৭৩ সালের ৪ জানুয়ারি উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দেয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ ভাই বোনেরা আমার, আমি আপনাদের কৃষক ভাইদের জন্য ২৫ বিঘা জমির খাজনা মাফ করে দিয়েছি। ক্ষমতায় বসার প্রথম দিনে বকেয়া খাজনার সুদসহ মাফ করেছি। ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার একর জমি যা খাস মহলের জমি ছিল যেখানে আপনাদের আগে সেলামি দিতে হতো, সেলামি দেওয়া লাগবে না, তাদের মধ্যে ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে সেলামি বাদে। আর যার ১০০ বিঘার উপর জমি আছে গরীবের মধ্যে বের করে এনে বিলিয়ে দিতে হবে’।
রাজনীতিবিদ, আমলা ও অন্যান্য শিক্ষিত মানুষদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবেনা। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করে বলেছিলেন, বাংলার কৃষক, বাংলার দুঃখী মানুষ এরা কিন্তু অসৎ নয়, ব্লাক মার্কেটিং করে কারা? রাগ করবেন না। আপনারা শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, চিন্তাশীল, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় আছেন, আপনারা রাগ করবেন না। ব্লাক মার্কেটিং কারা করে? যাদের পেটের মধ্যে দুই কলম বিদ্যা হয়েছে তারাই ব্লাকমার্কেটিং করে। স্মাগলিং কারা করে? যারা বেশী লেখাপড়া শিখছে তারাই করে। হাইজাকিং কারা করে? যারা বেশি লেখাপড়া শিখছে তারাই করে। ইন্টারন্যাশনাল স্মাগলিং তারাই করে। বিদেশে টাকা রাখে তারাই। আমরা যারা শিক্ষিত, আমরা যারা বুদ্ধিমান, ঔষধের মধ্যে ভেজাল দিয়ে বিষাক্ত করে মানুষকে খাওয়াই। নিশ্চয়ই গ্রামের লোক এসব পারে না, নিশ্চয় আমার কৃষক ভাইরা পারে না। নিশ্চয় আমার শ্রমিক ভাইরা পারে না। পেটের মধ্যে যাদের বুদ্ধি বেশি আছে তারাই ব্লাক মার্কেটিয়ার। আর বিদেশী এজেন্ট কারা হয়। নিশ্চয়ই আমার কৃষক নয়, নিশ্চয়ই আমার শ্রমিক নয়। আমরা যারা লেখাপড়া শিখি, গাড়িতে চড়ি, বিদেশে যাবার পারি, বিদেশিদের সঙ্গে মিশতে পারি, ভাল স্যুট পড়তে পারি, তারাই বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে বিদেশের এজেন্ট হয়। বাংলার মাটিতে জনমত সৃষ্টি করতে হবে- দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ও শোষকদের বিরুদ্ধে। আমি বিশ্বাস করি তাহলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উঠে যাবে’।
দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জাতির পিতার ভাবনা ছিল যুগান্তকারী। শুধু সনদ-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা যে সমাজে বেকারত্ব বাড়াবে সেটি স্বাধীনতার পরপরই বলে গিয়েছেন জাতির পিতা। ১৯৭৩ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘ উৎপাদন মাঠে, কলে-কারখানায়, ক্ষেতে, খামারে আপনাদেরই করতে হবে। আর এই যে আমাদের আইএ, বিএ পড়া হয় এটা বন্ধ করে দিয়া টেকনিক্যাল এডুকেশন করতে হবে। সেজন্য আমরা এডুকেশন কমিশন করে দিয়েছি। পে-কমিশনের রিপোর্ট বের হলে দেশকে যে শিক্ষায় সমাজতন্ত্র করা যায় সেই শিক্ষায় বাংলাদেশ করতে হবে। অন্য কোনো শিক্ষা এখানে হতে পারে না’।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার ছিল পরিষ্কার ভাবনা। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর স্পিকার মুহম্মদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবিধান বিল (গৃহীত) এর উপর দেয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এমন শাসনব্যবস্থা কায়েম করব, যেখানে প্রকাশ্য আদালতে বিচারের ব্যবস্থা থাকবে’।
দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে জাতির পিতার দারুণ সব ভাবনা ও পরিকল্পনা ছিল। গ্রামের গরীব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু করেছিলেন। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে বড় বড় ডাক্তার পাঠিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার তৎকালীন পিজি (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি) হাসপাতালে দেওয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ যখন ছুটি দেওয়া হবে, যে বড় ডাক্তাররা আছেন, যারা স্পেশালিষ্ট তারা গ্রামের দিকে কেন যাবেন না। গ্রামে তো শতকরা ৯৫ জন লোক বাস করে। তারাই তো সম্পদ দিয়ে আপনাদের সবকিছু দেখেছে। নতুন শহর দেখেন, আপনাদের দোতলা অফিস দেখেন, যেখানেই যান সব কিছু বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের পয়সায়। তাদের দিকে কেন নজর দিবেন না?’।
নার্সদের অতি সম্মানের আসনে বসিয়েছিলেন জাতির পিতা। সেদিন সে ভাষণে, তিনি বলেছিলেন, ‘ আমাদের নার্সরুম, আমাদের সমাজের জন্য এটা আমি বুঝতে পারি না যে, এ সমাজ কী করে বাঁচবে? একটা মেয়ে দেশের খাতিরে নার্সের কাজ করেছে তার সম্মান হবে না। আর ভাল কাপড় ঘুরে বেড়ায় তার সম্মান হবে। চেয়ারটা তাকে দেওয়া হবে। এই জন্য আমাকে নার্সিং শিক্ষার নার্সিং যে কাজগুলো আছে সেগুলো একটা উচ্চপর্যায়ে নিতে হবে এবং এর উপর একটা কোর্স থাকতে হবে। আমি ডাক্তার সাহেবদের সাথে পরামর্শ করেছিলাম যে, ডাক্তার সাহেব আমাকে একটা প্ল্যান দেন। কী করে আমি ওদের গ্র্যাজুয়েট মেয়েদের এখানে আনতে পারি। কত বেতন দিলে তারা এখানে আসতে পারে, আইএ পাশ মেয়েরা আসতে পারে। আসতে হবে সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে। এবং তাদের কোর্স হবে, ট্রেনিং হবে এবং তার পর তাদের চাকুরির একটা সিস্টেম থাকবে’।
বাংলাদেশের ফরেন পলিসি কেমন হবে সেটি ১৯৭২ সালেই নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। ১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে ভাষণ প্রদানকালে বঙ্গবন্ধু নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ আমাদের ফরেন পলিসি পরিষ্কার। আমরা কোন যুদ্ধ জোটে যোগদান করতে চাই না এবং করব না। আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বাস করতে চাই, আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। আমরা সাম্রাজ্যবাদ, কলোনিয়ালিজম বিরুদ্ধে সংগ্রামে সবসময় আছি। আমরা দুনিয়ার দুঃখী মানুষ যেখানে সংগ্রাম করবে, তার পক্ষে বাংলাদেশ দাঁড়াবে। কারণ আমরা দুঃখী, আমরা কষ্ট সহ্য করেছি। আমরা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে স্বাধীনতা নিয়েছি। আমরা যেখানে দুনিয়ার মজলুম মানুষ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে আমরা নিশ্চয়ই তার পাশে গিয়ে দাঁড়াব’।
১৯৭২ সালের ৬ মার্চ রাশিয়া সফর শেষে ঢাকা বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু এক ভাষণ প্রদান করেন, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘দুনিয়ায় শান্তি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ-সোভিয়েত রাশিয়া পাশাপাশি কাজ করবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের বিরোধী শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে জাতিকে বারবার সতর্ক করে গেছেন জাতির পিতা। ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাষ্ট্রীয় সফরে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেন, ‘ আমেরিকা, আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারলাম না। আর আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, মুখে মুখে মেহেরবানী করে গণতন্ত্রের কথা না বলে, গণতন্ত্র যাতে চলে সেদিকে একটু খেয়াল রাখুন। দুনিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের দিন চলে গেছে। ভারতবর্ষ আর বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদীদের খেলা চলবে না’।
পুলিশের চরিত্র কেমন হবে, সেটিও বলে গেছেন জাতির পিতা। ব্রিটিশ আর পাকিস্তান আমলের অত্যাচারী পুলিশবাহিনী যে স্বাধীন বাংলাদেশে থাকবে না সেটি পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন তিনি। ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে প্রদত্ত এক বিবৃতি বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একটি নয়া-পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটি হবে গণ-পুলিশ বাহিনী; অতীতের ন্যায় এ বাহিনী ভয়-ভীতি ও নির্যাতন চালানোর হাতিয়ার হবে না।’
অর্থনীতি ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন এনে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে পুরো আমলাতন্ত্রকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন জাতির জনক। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোভাব বদলানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের সমাবেশে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘ সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা, আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে। আমরা একটা আদর্শের জন্য সংগ্রাম করেছি। আমার সরকারের নীতিই হচ্ছে স্বাধীনতার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া’।
সরকারি আমালারা যে মানুষের প্রভু নন, সেবক সেটি বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সংবিধান বিল (গৃহীত) এর উপর বঙ্গবন্ধু ভাষণ প্রদান করেন ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর। সেখানে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র নিয়ে শক্ত ভাষায় বলেছিলেন, ‘ কেউ কেউ বলেছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। তারা অন্যান্য দেশের শাসনতন্ত্রও পড়ুন। সরকারি কর্মচারীরা একটা আলাদা জাতি নয়। তারা আমাদের বাপ, আমাদের ভাই। তারা কোন ডিফারেন্ট ক্লাস নয়। ইংরেজ আমলে আইসিএস, আইপিএসদের প্রোটেকশন দেওয়া হত। সেই প্রোটেকশন পাকিস্তান আমলেও দেওয়া হত। আমলাতন্ত্রের সেই প্রোটেকশন এ আঘাত করেছি- অন্য জায়গায় আঘাত করিনি। এই ক্লাস রাখতে চাই না। কারণ শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, একটি ক্লাসলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আইনের চক্ষে সাড়ে সাত কোটি মানুষের যে অধিকার, সরকারি কর্মচারিদেরও সে অধিকার। মজদুর, কৃষকদের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মাইনে, খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। সুতরাং মজদুর, কৃষকদের যে অধিকার, সরকারি কর্মচারীদের সেই অধিকার থাকবে। এর বেশি অধিকার তারা পেতে পারে না’।
নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা বদলে দিয়ে জাতির পিতা নিজেদের একটা সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র আর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে সমাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এই পুরো কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারত তৎকালীন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকা ছিল উন্নয়নবিরোধী। জাতির পিতাকে দুর্বল করতে যেন বিশেষ যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন কিছু সংবাদপত্র। বাংলাদেশে হলুদ সাংবাদিকতার শুরু সে সময় থেকেই। ইত্তেফাকের মত পত্রিকায় বাসন্তী নামে এক নারীর গায়ে মাছ ধরার জাল পড়িয়ে সরকার বিরোধী নিউজ করিয়ে মানুষের মনে চরম হতাশা সৃষ্টি করা হয় সে সময়। সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার উপর খুব বিরক্ত ছিলেন জাতির পিতা। স্বাধীনতা পেয়ে এক শ্রেণির মিডিয়া মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের কাজকে কঠিন করে তুলেছিল।
১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক অধিবেশনে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘‘আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এজন্য আপনাদের কোন কাজে কখনো কোন রকম হস্তক্ষেপ করি নাই। …কিন্তু গণতন্ত্রেও একটা মূলনীতি আছে। সাংবাদিকতারও একটি মূলনীতি আছে। স্বাধীন দেশে যথেচ্ছাচার চলতে দেয়া যায় না। স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার তারই আছে, যে স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে জানে। বিপ্লবের পরে ছ’মাসের মধ্যে আপনারা যতখানি স্বাধীনতা পেয়েছেন, ততখানি স্বাধীনতা এদেশে এর পূর্বে কেউ পায় নাই’’।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে দেয়া স্বাধীনতা এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম গঠনমূলক কাজে ব্যবহার না করে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করে। এর মধ্যে ঘটে যায় ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ। রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে শেষ চেষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন বাকশাল। সংসদীয় ব্যবস্থার সরকার থেকে প্রবর্তন করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার। (চলবে)
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)।