গেইল ক্রিজে থাকলে উপমহাদেশের অধিনায়করা স্পিন দিয়ে আক্রমণ করতে ভালোবাসে। সাকিব বিপিএল ফাইনালে সেটা তো করলেনই, সঙ্গে সেই আক্রমণটা আট ওভার পর্যন্ত স্থায়ী করলেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের এমন স্পিনবূহ্যও আটকাতে পারেনি রংপুরকে। গেইলের ১৪৬ রানে ভর করে তারা ২০৬ রানের স্কোর গড়েছে।
যতক্ষণ স্পিনাররা আক্রমণে ছিলেন, ততক্ষণ গেইল, ম্যাককালাম বেশি নড়াচড়া করেননি। প্রথম আট ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চার্লসের (৩) উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে দলটি। এই সময়ে গেইল একবার জীবনও পান। ২২ রানে থাকার সময় ষষ্ট ওভারে অধিনায়ক সাকিব কাভারে তার ক্যাচ ছাড়েন।
গেইল জীবন পেলে কী হয়, তা সারা পৃথিবী জানে। মিরপুর জানল আরেকবার। ঢাকা ডুবেছে মূলত ওই গেইল আর ম্যাককালাম-ভীতিতে। না হলে ১৫তম ওভারে আবু হায়দার ওভাবে ম্যাককালামকেও জীবন দিতে পারেন না।আবু হায়দার স্লোয়ার কাটার মারেন। ম্যাক ভুলও করেন। বড় শট খেলতে যেয়ে টাইমিং হারান। অন্য দুই ফিল্ডারকে সরে যেতে ইশারা করে আবু হায়দার নিজেই বলের নিচে যান। তাতে মনোযোগ হারান।
গেইল এই আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫৭ বলে। ১১টি ছয় আর চারটি চারে শতক স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ১৮টি ছয় আর পাঁচটিটি চার মেরে অপরাজিত থাকেন। এটি বিপিএলে গেইলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। প্রথম আসরে দুটি ও দ্বিতীয় আসরে একটি শতক হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। পরের বছর হাঁকান আরও একটি। গত দুই আসরে সেঞ্চুরি পাননি। এবার এলিমিনেটর ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরি পান।
বিপিএলে এটি গেইলের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল এলিমিনেটর ম্যাচের ওই ১২৬। যেটিতে বিপিএলের আগের সর্বোচ্চ ১৪টি ছক্কা হাঁকান। এদিন বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের এবং ছক্কার নিজের রেকর্ড আবার ভাঙলেন।
গেইলের এমন তাণ্ডবের দিনে ম্যাককালামও বসে থাকেননি। ৪৩ বলে ৫১ করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে বেশি ধকল গেছে খালেদ আহমেদের ওপর দিয়ে। দুই ওভারে ৩৯ রান দিতে হয়েছে তাকে। সুনীল নারিন চার ওভারে ১৮ রান দিয়েও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। তিন ওভারে ২৬ রান দিয়ে একমাত্র উইকেটটি সাকিবের। আফ্রিদি ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৮। পোল্যার্ড দুই ওভারে ৩৩। মোসাদ্দেক তিন ওভারে ৩৩।