প্রিয়জন হারানোর অনুভূতি কেমন তা জানেন পিয়ার্স ব্রসন্যান। ১৯৯১ সালে স্ত্রী ক্যাসান্দ্রা হ্যারিস ওভারির ক্যানসারে ভুগে মৃত্যুবরণ করেন। এর ২২ বছর পর দত্তক মেয়ে শার্লটকেও একই রোগে হারান পিয়ার্স ব্রসন্যান। পরিবারের আপন দুজনকে হারানোর কষ্ট এতদিনে একটুও কমেনি। এখনো তাদের সাথে কাটানো প্রিয় মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পিয়ার্স ব্রসন্যান জানান, প্রিয়জনদের হারানোর কষ্টের কথা। তিনি বলেন, ‘একটি কাপকে অর্ধেক পূর্ণ হিসেবে আমি কখনোই দেখি না। প্রায়ই একটি অন্ধকার বিষাদ ছায়া আমার সঙ্গী হয়। যে মানুষটার সঙ্গে সব কিছু ভাগ করে নেওয়া যেত, তার হঠাৎ প্রস্থান হলো জীবনের নিষ্ঠুরতা।’
১৯৮০ সালে বিয়ে হয় এই দম্পতির। তাদের ঘরে ছেলে সিনের জন্ম হয়। এরপর ক্রিস এবং শার্লটকে দত্তক নেন এই দম্পতি।
প্রথম স্ত্রীকে হারানোর দুই বছর পর কেলি স্মিথকে বিয়ে করেন পিয়ার্স ব্রসন্যান। কেলির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ও আকর্ষনীয় নারী। আমার জীবনের ধ্রুবতারা।’
ব্রসন্যান জানিয়েছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে সুখে আছেন তিনি। তবে প্রিয়জন হারানোর কষ্ট তার মনে রয়ে গেছে আজও। বিশেষ করে ক্যাসান্দ্রার স্মৃতি এবং তার ক্যানসারের সাথে লড়াইয়ের মুহূর্তগুলো ভুলতে পারবেন না তিনি। হাফিংটন পোস্ট।