চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্কুলে মুছে দেওয়া বীরশ্রেষ্ঠর ছবি আঁকা হবে অন্য দেয়ালে

‘এলাকাবাসীর’ দাবির মুখে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের গজারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে আঁকা সাত বীরশ্রেষ্ঠর প্রতিকৃতি মুছে দেয়ার পর সেটি নতুন করে আঁকা হবে স্কুলের অন্য দেয়ালে।

বিয়ানীবাজারের সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মেহেদি হাসান বলেন, বিষয়টি খুবই সেন্সিটিভ। কিন্তু এই এলাকায় আর কোনো জানাজার স্থান নেই। এই একটি জায়গাই। সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুতই এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে।

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুম মিয়া বলেন, এই এলাকায় জানাজার কোনো জায়গা নেই। তাই এলাকাবাসীর চাওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন, সেখান থেকে প্রতিকৃতিগুলো সরিয়ে নেয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধকে জানাটাও জরুরি। সেজন্য এই ছবিগুলোকে সরিয়ে দেয়ালের নিচে দিকে আঁকতে বলা হয়েছে। তাহলে সেভাবে আর জানাজায় কোনো সমস্যা থাকবে না।

স্কুল প্রাঙ্গণে জানাজার সময় মুখ করে দাঁড়ানো দেয়ালে আঁকা বীরশ্রেষ্ঠর ছবিগুলো আবার দুই এক দিনের মধ্যেই অন্য দেয়ালে এঁকে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে সাত বীরশ্রেষ্ঠর সঙ্গে এই এলাকার শহীদদের ছবি আঁকারও কথা ভাবনায় রয়েছে। এখানে আরো অনেক স্কুলেই বেশ কিছু ছবি আঁকা আছে।

‘এক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসরুমের নাম রোকেয়া কক্ষ। সেখানে তার ছবি আঁকা রয়েছে, রয়েছে পরিচিতি। গজারাই প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ক্লাসরুমের ভেতরে রয়েছে অনেক ছবি। কিন্তু এলাকায় জানাজার আর কোনো জায়গা না থাকায় এই চাওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে সেটি বিবেচনা করে দেখা হয়েছে।’

এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এখন যে সমাধান আনা হচ্ছে তাতে যেমন জানাজায় কোনো সমস্যা হবে না তেমনই শিক্ষার্থীদেরও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাশোনায় কোনো বাধার সৃষ্টি হবে না।

‘দেয়ালের নিচের দিকে আঁকা হলে ছবি দেখে যেমন শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে তেমনই জানাজার সময়ে সেটা দেখাও যাবে না। ফলে জানাজা পরতে সমস্যা হবে না। এলাকায় জানাজার জন্য আর কোনো জায়গা না থাকায় এই সমস্যার তৈরি হয়েছে।’

এই ডিসেম্বর মাসেই সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের গজারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালে সাত বীরশ্রেষ্ঠর প্রতিকৃতি আঁকানো হয়। কিন্তু এলাকায় আর কোনো জানাজার স্থান না থাকায় এলাকাবাসীর দাবির মুখে আবার সেটি সাদা রঙ দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। সেটা নিয়েই পরবর্তীতে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।