বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংস ঘটনায় অগ্নিকাণ্ড ও বোমা হামলার শিকার স্কুলছাত্র অনিক ও হৃদয়সহ ৭ জনকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আহত ও তাদের স্বজনদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজ নেন। তাদের সান্তনা দেন। এ সময় আবেগ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও মঙ্গল কামনা করেন স্বজনরা।
ফেনীর দাগনভূঞার শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হৃদয় এর বাবা আবুল খায়ের, তার অপর সহপাঠী মিনহাজুল ইসলাম অনিকের মা আমেনা আক্তার জেসমিন, গাজীপুর শ্রীপুরের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তেঁজগা রাজস্ব সার্কেলে কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল কাদির মিয়া (ফেনীর তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপার লিটন মিঞার হাতে ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত অন্য দুই জন রাজধানীর মিরপুর-১ এর মধ্য পাইকপাড়ার আব্দুল মতিন ও বংশালের সেলিম হোসেন সেলিমকে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ঘটনার পরপরই আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আহতদের আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন শেখ হাসিনা। মারাত্মক আহতদের বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ফেনীতে বোমায় গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্র অনিক ও তার সহপাঠী হৃদয়। ৯ জানুয়ারি ফেনীতে বোমা হামলায় আহত হন আব্দুল কাদির মিয়া। এর মধ্যে ভারতের মাদ্রাজ শঙ্কর নেত্রালয়ে অনিককে এবং হায়দ্রাবাদে আব্দুল কাদির মিয়ার চিকিৎসা করানো হয়।
চেক প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও স্থানীয় সরকার সচিব আব্দুল মালেক।