নিজে শখের বশেই রান্না করতেন ধোহা আবদুল্লাহ। তার রান্না করা খাবার খেয়ে যখন পরিবারের লোকজন বলেছে, তিনি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের থেকেও ভালো খাবার রান্না করে তখনই রান্নায় নতুন করে আগ্রহ জন্মায় ধোহার।
সেটাই তাকে এনে দিয়েছে নতুন পরিচিতি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে তার দক্ষতা। সৌদি আরবের রিয়াদে একটি রেস্টুরেন্টে প্রথম প্রধান নারী শেফ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
ধোহা আবদুল্লাহ নামের এই নারী কিং সৌদি ইউনিভার্সিটি থেকে সোশ্যাল সার্ভিসে মাস্টার্স করেছেন। পরবর্তীকালে লেবাননে ও ভারতে রান্না শিখেছেন। আন্তর্জাতিক কিছু খাবারই নিজের স্টাইলে রান্না করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ধোহা। আর এভাবেই সৌদি খাবারের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ, ইন্ডিয়ান ও সিরিয়ান খাবারেও দক্ষতা অর্জন করেছেন।
অনেকেই তার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন যেমন সৌদির শ্রমমন্ত্রীও তাকে অনুপ্রেরণা দেন এই ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে।
সৌদি আরবে রান্নার কোনো স্কুল না থাকায় রান্না শিখতে বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়েছে ধোহাকে। তাই সৌদিতে একটি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট কুকিং ইন্সটিটিউট খোলার কথা শুনেই তাদর সঙ্গে যুক্ত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেন ধোহা। এবং কোনোরকম বিনিময় ছাড়াই অন্যদের সহযোগিতা করতে চান তিনি।
এই বছরের মার্চে সেখানকার ইস্টার্ন প্রদেশের মিনিস্ট্রি অব লেবার রিক্রুটমেন্টের ডিরেক্টর ওমাইর আল-জাহরানি বলেন, ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং নারীসত্ত্বাকে নষ্ট করে না এমন সব ধরনের ক্যারিয়ারে নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে এই মন্ত্রণালয় সবসময় কাজ করে চলেছে। অনেক সময় হোটেলে নারীদের রিসেপশনিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য করা হয়। শেফ হিসেবে তারা কাজ করতেই পারে যদি কর্মপরিবেশ পুরো পুরুষমুক্ত হয় এবং তিনি তার রেস্টরুম নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে সৌদির গালফ কমিটি মেম্বার এবং সাবেক ইস্টার্ন প্রভিন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি টুরিজম কমিটি হেড আবদুল্লাহ আল-কাহতানি বলেন, সমাজ ও শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। সঠিক ট্রেনিং পেলে এইসব ক্ষেত্রে নারীর কাজের মান যেমন বাড়বে তেমন হোটেলগুলোও আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে।