চার স্লিপ। এক গালি। বোলিংমার্কে মোস্তাফিজ। গ্রিপভর্তি সেই চেনা কাটারের ‘হুমকি’। ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচের ১৭তম ওভারের দৃশ্য এটি। ঠিক যেন ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর।
সেদিনও প্রতিপক্ষ ছিল এই জিম্বাবুয়ে। মাশরাফী স্লিপে রেখেছিলেন পাঁচজন। এরপর কয়েক শীত চলে গেছে। এই দৃশ্য যেমন দেখা যায়নি; তেমনি দেখা যায়নি সেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজকেও।
মোস্তাফিজ ক্যারিয়ারের শুরুতে বল ছাড়ার সময় স্টাম্পের খুব কাছে থাকতেন। আগে স্টাম্প-টু-স্টাম্প বল করতেন। যার কারণে কাটার এবং স্লোয়ার খুব বিপজ্জনক হতো। মাঝখানে উইকেটের বেশ বাইরে থেকে বল করেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতে তাকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে। বল ছাড়ার সময় গ্রিপেও সেই আগের ভাঁজ আনছেন।
গত বছর জুলাইতে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে যেয়ে ইনজুরিতে পড়েন কাটার মাস্টার। এরপর আগস্টে ফোর্টিয়াস ক্লিনিকের অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস বাংলাদেশের এই পেসারের কাঁধে অস্ত্রোপচার করেন। এর ভেতর বাংলাদেশ দলে পেসারদের কোচ হয়ে আসেন কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। মোস্তাফিজকে ইনজুরি মুক্ত রাখতে তার বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন তিনি।
মোস্তাফিজ এদিন বেশ কয়েকবার উইকেট পাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। প্রথম সাফল্য পান ওই ১৭তম ওভারে। চতুর্থ ডেলিভারিটি ওভার দ্য উইকেটে স্টাম্পে পিচ করে একটু বাইরের দিকে মুভ করে। টেইলর ব্যাট চালিয়ে দেন। ধরা পড়েন মুশফিকের হাতে। এরপর নতুন ব্যাটসম্যানকে চেপে ধরতে মাশরাফী স্লিপে চারজন আনেন।
প্রথম সাত ওভারেও স্লিপ প্যাকেট ছিল। ওদিকে শর্ট মিড-উইকেট আর শর্ট মিডঅফ। প্রথম ওভার থেকেই টার্ন পান অফস্পিনার সাকিব আল হাসান। সেই টার্নের মুখে হাফসুইং শটে ফুটওয়ার্ক মেলাতে না পেরে দুইজন সাজঘরে ফেরেন। আরেক দিক থেকে মাশরাফীর নিয়ন্ত্রিত পেসে আসে সাফল্য।
প্রথম ২০ ওভারে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচের চিত্র এটি। দুই উইকেট হারানোর পর মাসাকাদজা সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন। তাকে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফী। অষ্টম ওভারের শেষ বলে মাশরাফীর অফস্টাম্প ঘেঁষা বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ফুলসুইং শট খেলেন। কানায় লেগে চলে যায় মুশফিকের হাতে।