রমজানের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও সিলেটে এখনো জমেনি ঈদ বাজার। পোশাকের দোকানগুলোতে আশানুরূপ বেচাকেনা না থাকায় বিক্রেতাদের মাঝে কাজ করছে হতাশা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, নগরীর ক্রেতারা মূলত শেষের দিকে ঈদের কেনাকাটা করেন। এরকম মধ্যবর্তী সময়ে শহরের বাইরের ক্রেতারা কেনাকাটায় আসেন। কিন্তু হাওর অঞ্চলের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় বাইরের ক্রেতারা আসছেন না। এছাড়া প্রবাসীরাও কম এসেছেন এবারের ঈদের কেনাকাটায়। ফলে ঈদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
সিলেটটুডে২৪.কম জানায়, গত মার্চে অকাল বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলের প্রায় নব্বই শতাংশ ফসল। এতে বিভাগের সবগুলো জেলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একমাত্র ফসল হারিয়ে সুনামগঞ্জসহ হাওরপ্রধান এলাকাগুলোতে চলছে চৈত্রের নিদান। ফলে এবার ঈদে নতুন পোষাক কিনছেন না এসব এলাকার বাসিন্দারা। এর প্রভাব সিলেটের ঈদ বাজারে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনো ঈদের কেনাকাটা জমে না উঠায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শপিং মল ও ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতারা। নগরীর সিটি সেন্টার, ব্লু ওয়াটার, কাকলি শপিং সিটি, মিলেনিয়াম শপিং সিটি,শুকরিরা মার্কেট, সিলেট প্লাজা, মধুবন মার্কেটসহ আরও কিছু বিপণী বিতান ও নয়াসড়ক এলাকার কয়েকটি ফ্যাশন হাউজে এই চিত্র দেখা গেছে বলে জানায় সিলেটটুডে২৪.কম।
ব্যবসায়ীরা জানান, হাওরে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের হাতে টাকাপয়সা নেই। ফলে তারা কেনাকাটা করতে পারছেন না। এছাড়া আগে সিলেটের লোকজন প্রবাসের স্বজনদেরকেও ঈদ উপহার পাঠাতেন। এখন তাও কমে গেছে। এছাড়া এবার ঈদের সময় ছুটি না থাকায় প্রবাসীরাও দেশে আসেননি। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের বাজারে মন্দাভাব চলছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগে গ্রাম থেকে ক্রেতারা এসে শহরে ঈদের জন্য কেনাকাটা করতেন কিন্তু হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যার কারণে গ্রামের ক্রেতারা আসছেন না।
অন্যান্য বছর এমন সময়ে সিলেটের বিপণী বিতানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এবার অনেকটাই ব্যতিক্রম। দিনের বেশিরভাগ সময়ই শপিংমলগুলো ক্রেতাশূন্য থাকছে। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া শপিং মলের মতো বড় বড় ফ্যাশন হাউস ও ব্র্যান্ড শপগুলোতেও কেনাবেচা নেই বললেই চলে।
ঈদ উপলক্ষে প্রায় সব পোষাক ব্যবসায়ীই বাড়তি বিনিয়োগ করে নতুন ডিজাইনের কাপড় তুলেছিলেন নিজেদের শো-রুমে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তারা।