কিছু সিনেমা হলের কর্মচারীদের সহযোগিতায় হলে গোপন ক্যামেরায় নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমা ধারণ করে তার পাইরেটেড কপি সিডি আকারে বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। সেই চক্রেরই ১৭ সদস্যকে আটক করেছে এলিট ফোর্স র্যাব।
মঙ্গলবার গাজীপুরের বোর্ডবাজার ও টঙ্গী চম্পাকলি সিনেমা হল মার্কেট থেকে পাইরেসি ও পর্ণোগ্রাফির সাথে সম্পৃক্তার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে উত্তরায় র্যাব ব্যাটালিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম জানান, আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন মিউজিক্যাল স্টুডিও এবং এ্যাডফার্মের কলাকুশলীদের সাথে যোগাযোগ রাখত। তাদের কাছ থেকে নতুন মিউজিক ভিডিও সংগ্রহ করে বাজারে ছাড়ত।
তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম ও লাভজনক শিল্প। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, চলচিত্র অশ্লীলতা বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। একই সাথে ভিডিও পাইরেসির ফলে এই শিল্পে লগ্নিকারীরাও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
“অডিও পাইরেসির কারণে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। গায়ক – গায়িকারা যেমন হারিয়ে ফেলেছে তাদের উৎসাহ, তেমনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ভিডিও সংগ্রহকারীর প্রধান হোতাকে আটক করা সম্ভব হয় নি। তবে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ওই অভিযানে ২৭টি মনিটর, ২৭টি সিপিইউ, ৭৩০টি সিডি ক্যাসেট, ৭৫টি কার্ডরিডার, ১৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।