নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বের হাসান সিজারকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনলাইন পিটিশন শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সিজার।
ড. মোবাশ্বের হাসান সিজারকে একজন মানবাধিকার রক্ষী হিসেবে উল্লেখ করে পিটিশনের প্রথম অংশে তার বিভিন্ন কাজ, প্রচেষ্টা ও অর্জন সম্পর্কে সংক্ষেপে তথ্য দেয়া হয়েছে।
পরের অংশে রয়েছে পিটিশনের মূল বক্তব্য। সেখানে বলা হয়: ‘মোবাশ্বের হাসান ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, তিনি ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে শেষবারের মতো আগারগাঁওয়ের লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের কাছে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট পাওয়া হাসান ইসলামিক চরমপন্থা নিয়ে তার গবেষণার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হাসানের অন্তর্ধান জুলাই থেকে এ পর্যন্ত হওয়া নবম হাই-প্রোফাইল ঘটনা, যাদের অনেকেই ছিলেন প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ, ব্লগার এবং সমালোচক।
বিশ্বব্যাপী নাগরিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষণের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ সরকার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা মোবাশ্বের হাসানকে খুঁজে বের করতে সম্ভবপর সবকিছু করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গোপিটিশন.কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওই অনলাইন পিটিশনটি চালু করেন লুসি ওয়েস্ট, ড. শ্যানন ব্রিনক্যাট ও ড. লি মরগেনবেসার। লুসি গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির একজন পিএইচডি ফেলো এবং অন্য দু’জন ফ্যাকাল্টি সদস্য।
গত ৭ নভেম্বর বিকেলে কর্মস্থল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনশ্রীর বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন মোবাশ্বের হাসান সিজার। ওইদিন সকাল ৭টায় কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে তার মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।