প্রথমে সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, লিটন দাস ও সাইফ হাসানের ফিফটি; পরে শুভাগত হোমের পাঁচ উইকেট। তাতে আবাহনীর কাছে উড়ে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। স্কোরবোর্ড বলছে সাদমানের সেঞ্চুরিটা না হলেও আবাহনীই জিতত! শুক্রবার সপ্তম রাউন্ডের লড়াইয়ে ১০৭ রানে জিতেছে দলটি। সেখানে সাদমানের ব্যাটে এসেছে ১০৩ রানের ইনিংস।
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা নেই, তাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নিজেদের সামর্থ্যটা মেলে ধরার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। আবাহনীর ২১ বর্ষী তরুণ সাদমান দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তারই এক ঝলক দেখালেন।
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করছে আবাহনী লিমিটেড। তাতে ১০০ বলে ১০৩ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। ৯ চার ও ৩ ছয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আরিফুল হকের বলে আসিফ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি।
সাদমানের দিনে দুই পরিচিত মুখ লিটন দাস ও সাইফ হাসান তুলে নিয়েছেন ফিফটি। উদ্বোধনীতে সাদমানের সঙ্গে ১১৯ রান যোগ করা লিটন ফেরেন ৬৫ রানে। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ বলের ইনিংস সাজিয়ে।
পরে সাদমানের সঙ্গে ১০১ রানের আরেকটি জুটির কারিগর সাইফ ফেরেন ৫১ রানে। ২ চার ও ৩ ছয়ে ৫৩ বলের ইনিংস তার। তিন তরুণের ব্যাটে ভিত্তি পেয়ে আবাহনীও তিনশ পার করেছে সংগ্রহটা। নির্ধারিত ওভারের চার বল আগে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ৩০৫ রান তাদের।
আল-আমিন হোসেন ও আরিফুল হক ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। ২টি উইকেট সালমান হোসেনের।
আবাহনীর ইনিংসের শেষদিকে ২৩ বলে ২৩ রান করা শুভাগত হোম পরে বল হাতেও সফল। ৯.৫ ওভারে ৪৭ রানে ৫ উইকেট তার। দুটি নিয়েছেন মানান শর্মা।
প্রাইমরা ৪৪.৫ ওভারে ১৯৮ রানেই গুটিয়ে গেছে। অপরাজিত ৬১ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন সালমান হোসেন। অধিনায়ক মেহেদী মারুফ ও আল-আমিন জুনিয়র ৩১ করে এবং শাহনাজ আহমেদ করেছেন ২৫ রান।