চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাত খুন মামলায় নতুন ৫ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী একটি মামলার বাদীসহ দুই জনের জেরা ও নতুন ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১০টায় নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক সিও তারেক সাঈদসহ ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এ বিচারিক কার্য সম্পন্ন করা হয়। পরে আদালত আগামী ২৫ এপ্রিল জেরা ও সাক্ষীর দিন ধার্য্য করা হয়।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সকাল দশটায় আসামীদের উপস্থিতিতে জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষীর জন্য সাত জনকে ডাকা হলেও আদালত আজ ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। প্রথমে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে একটি মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও মো: এসআই মিজানুর রহমান। আজ এস আই আবু হানিফ, নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের সহকর্মী অ্যাডভোকেট প্রীতম কুমার, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস, নিহত তাজুলের চাচা আবু তাহের, নজরুল ইসলামের শ্যালক সাইদুল ইসলাম সাক্ষী দেন। এ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। হত্যা ও লাশ উদ্ধারসহ নানা তথ্য উঠে এসেছে। তবে আসামী পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করার কথা রয়েছে। নিহত নজরুলের ভাই আব্দুস সালামকে নানা রকম হুমকি ধামকি দেয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আগামী ২৫ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য ও জেরার দিন ধার্য্য করা হয়েছে। তিনি বাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন তিনি সকল সাক্ষীদের আদালতে নির্বিঘ্নে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করবেন।

আসামী তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুজ্জামান জানান আজ সুষ্ঠুভাবে তিনি জেরা সম্পন্ন করেছেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ মন্ডল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। এই মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। ১২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।