রাজনৈতিক রেষারেষিতে পড়ে জনিকে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জনির লাশ শনাক্ত করেন তার বড়ভাই নয়ন।
রোববার গভীর রাতে রাজধানীর পরীবাগের সাকুরা বারের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জনিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনির বড় ভাই নয়ন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: জনি ঢাকার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ওয়ার্ডের সেক্রেটারি পদ নিয়ে বারে কথা কাটাকাটি হয় এবং প্রতিপক্ষের লোকেরা বারের ভেতরেই তাকে মারধর করে রক্তাক্ত ও জখম করে বারের বাইরে ফেলিয়ে রাখে।
নয়ন জানান, তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়েরের সকল কাজ শেষ করেছেন।
নিহত জনির আরেক নাম জনি বাবা। রাজধানীর কল্যাণপুরে থাকতেন তিনি। পেশায় ছিলেন ফুল ব্যবসায়ী। জনির গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। তার বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোহাম্মদ সেলিমকে সাকুরা বারের সামনে একদল সন্ত্রাসী গুরুতর আহত করে। পরে সেলিম ৯ এপ্রিল বক্ষব্যাধি হাসপাতলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। সেলিম হত্যাকাণ্ডে প্রধান আসামী ছিলেন জনি।
সোমবার বিকেলে শাহবাগ থানায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজিমুল হক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন: আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরণের তথ্য রয়েছে, তদন্তের খাতিরে কিছু বলা যাচ্ছে না। খুব দ্রুত আমরা এ তদন্তের কাজ শেষ করব।
তিনি বলেন: এরইমধ্যে জনি হত্যাকাণ্ডের পর সাকুরা বার ও তার আশপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পরীবাগের সাকুরা বার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সাকুরা বার সহ আশপাশের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।