চট্টগ্রাম থেকে: ‘সাকিবের কথা বললে, ও আসলে আমাদের দেশের এবং বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ওর জায়গায় কাউকে খেলাতে হলে একজন বোলার এবং একজন ব্যাটসম্যান খেলাতে হয়। তাতেও পুরোপুরি ওর মতো হবে কিনা সংশয় থেকে যায়। ও নিয়মিত খেলছে। অনেক খেলার মধ্যে আছে। অনেক পরিণত একটা ছেলে। ওর ঘাটতি আসলে পূরণ হয়ই না। তারপরও দলকে কোন না কোনভাবে ম্যানেজ করতে হবে।’
সাকিব আল হাসানের আঙ্গুলের চোটের কারণেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে এসেছেন আব্দুর রাজ্জাক। চার বছর পর দলে ফিরে দলে অনুজের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের বিকল্প যে শুধু সাকিবই, সেটিই বোঝালেন প্রথম টেস্টের ভেন্যু সাগরিকায় পা রেখে।
প্রথম টেস্ট থেকে সাকিব ছিটকে পড়ার পর বিকল্প হিসেবে আরেক বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামকে দলে ডাকা হয়। বাড়তি হিসেবে রাখা হয় লেগস্পিন-অলরাউন্ডার তানবীর হায়দারকেও। রোববার হঠাৎ করেই স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় রাজ্জাককে। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন ব্যাখ্যায় বললেন, অভিজ্ঞতার বিচারেই রাজ্জাক দলে এসেছেন।
‘হুট করে নয়। এটা প্রক্রিয়াতেই ছিল। টেস্টে দেশের মাটিতে আমরা স্পিনারদের ওপর নির্ভর করেই খেলছি। রাজ্জাক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব চোট পেয়েছে। সানজামুল নতুন, ও আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে। তাইজুলও আছে। রাজ্জাক যেহেতু ঘরোয়াতে ভাল করছে, আমরা চিন্তা করলাম ওকে দলের সঙ্গে রাখলে যদি সুযোগ আসে তাহলে দেখা যাবে। এই চিন্তা করেই ডাকা হয়েছে।’
মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪২তম ওভারে এক্সট্রা কাভার থেকে ছুটে এসে স্টাম্প ভাঙতে গিয়েছিলেন সাকিব। তখন কনিষ্ঠ আঙুলে চোট পান। দ্রুতই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আঙ্গুলে কোন চিড় ধরা না পড়লে মচকে গেছে গোড়ায়, সেলাইও লেগেছে। সাকিব না থাকায় তাই চট্টগ্রাম টেস্টে অধিনায়কত্ব করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর স্পিন অভিজ্ঞতার ঘাটতি মেটাতে ডাকা হয়েছে রাজ্জাককে।