সাংবাদিক ও কবি সাযযাদ কাদির (৭০) আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ গ্রিনরোডে বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ছেলে সাদ্দাম কাদির জানান, আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাযযাদ কাদিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে টাঙ্গাইলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।
সাযযাদ কাদির ছিলেন লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক। কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৮০টি গ্রন্থ রচনা করেন তিনি।
১৯৭২ সালে সাযযাদ কাদির করটিয়া সা’দত কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’য় যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে ‘রেডিও বেইজিং’-এ যোগ দেন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক সংবাদে কাজ করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কাজ করেন আগামী-তারকালোক ও দৈনিক দিনকালে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) যোগ দেন; সেখানে ছিলেন ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় কাজ শুরু করেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে তার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়।
সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘যথেচ্ছ ধ্রুপদ’ (১৯৭০), ‘চন্দনে মৃগপদচিহ্ন’ (১৯৭৬), ‘রসরগড়’, ‘লাভ স্টোরি’ (১৯৭৭), ‘বিশ্ববিহীন বিজনে’ (২০০৮), ‘নারীঘটিত’ (২০১২), ‘রমণীমন’ (২০১৬), ‘আঁচ’ (২০১৫), ‘বৃষ্টিবিলীন’ (২০১২), ‘কবিতা সংগ্রহ গল্প সংগ্রহ’ (২০১৬)।