চট্টগ্রাম থেকে: প্রথম ছয় ম্যাচে এক জয়। সেই চিটাগং নিজেদের শহরে এসে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৪০ রানের দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেষ চারের আগে আরও পাঁচটি ম্যাচ পাচ্ছে তারা। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে পরের রাউন্ডে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
সিলেট ম্যাচটা হেরে গিয়েও পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থস্থানে আছে। এখন পর্যন্ত শীর্ষ চারের প্রথম তিন দলের রানরেট কেবল প্লাস (+)। বাকিরা মাইনাসে। তাই পরের চার দলের যে কেউ শীর্ষ চারে ঢুকতে পারে।
চিটাগং এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করে ২১১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। তিন বিদেশি লুক রঞ্চি (৪১), ভ্যান জিল (৪০) আর সিকান্দার রাজা (৯৫) দলকে এগিয়ে দেন। জবাব দিতে নেমে ১৭১ রানে থেমে যায় সিলেট।
দুইশর ওপর আরও আটটি সংগ্রহ দেখেছে বিপিএল। যার সর্বোচ্চটি ঢাকার, ২১৭/৪; রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। তখন অবশ্য দলটির নাম ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। সেই দলটির আরও তিনটি সংগ্রহ আছে দুইশর ওপর। ঢাকা ডায়নামাইটস নাম নেয়ার পরও দুইশ পেরোনো স্কোর দেখেছে ঢাকা।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনার সৌম্য সরকার (১) ফিরে যান দলীয় ২৬ রানে। সিলেট কাপ্তান নাসিরের বলে নুরুল হাসান সোহানের ক্ষিপ্র স্টাম্পিংয়ে ভড়কে যান তিনি। সোহান এক হাতে বল জমিয়ে চোখের পলকে স্টাম্প ভেঙে দেন।
সৌম্য ফিরে গেলেও একপাশে ঝড় অব্যাহত রাখেন রঞ্চি। আবুল হাসানের বলে কাটা পড়ার আগে ২৫ বলে ৪১ করে যান।
বিদেশিদের ভিড়ে চিটাগংয়ের দেশিরা জ্বলতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় ৪ বলে ৩ করে বিদায় নেন। এরপর ভ্যান জিল আর সিকান্দার রাজা হাল ধরেন। ১৪তম ওভারে ভ্যান জিল ফেরার সময় দলকে ১৩৮ রানে রেখে যান। রাব্বির বলে আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৪০ করেন।
রাজা ৩০ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর ৪৫ বলে ৯৫ করে দিয়ে যান। ৯ চার ও ৬ ছয়ের মার এসেছে তার ব্যাটে।
নাসির এদিন ছয় বোলার ব্যবহার করেন। আবুল হাসান ৪২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। নাসির ৩৪ দিয়ে নেন একটি। একটি করে নেন ব্রেসনান এবং রাব্বিও।
জবাব দিতে নেমে সিলেট দুই উইকেটে ১২৩ রান তুলে ফেলে। ফ্লেচার ৪৬ বলে ৭১ করে স্বাগতিকদের চিন্তায় ফেলে দেন। তার ফেরার পেছনে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা সিকান্দার রাজার অবদান অনেকখানি। তাসকিন আহমেদকে বড় শট খেলতে যেয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন ফ্লেচার। সিকান্দার পেছন ফিরতে ফিরতে দুরহকোণ থেকে শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন। তাতেই সিলেটের রানের গতি কমে যায়।
রাজার সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়া বাবর আজম এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি। ৩২ বলে ৪১ করে ফেরেন তিনি। এরপর সাব্বির (৩), ব্রেসনান (২), নাসিররা (৮) যাওয়া-আসার মিছিলে নাম লেখান।
চিটাগংয়ের সৌম্য সরকার ২ উইকেট নিয়েছেন। তাসকিন আহমেদ ৩টি এবং ভ্যান জিলও ২টি করে উইকেট নেন।