চলতি অর্থবছরে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে থাকা মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। তবে খুব একটা গতি নেই অগ্রাধিকারে থাকা অন্য দুটি প্রকল্প কর্ণফুলি ট্যানেল ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজের। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দ অর্থও পুরোপুরি ব্যবহার হয়নি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ, অবকাঠামো ও পরিবহন খাতে।
অর্থবছরজুড়েও ছিলো তার প্রতিফলন। সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা পদ্মাসেতুর পর মেট্রোরেল প্রকল্পের মহাযজ্ঞ দেখছে রাজধানীর মানুষ। উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় চলছে ডিপো তৈরির কাজ।
প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে রাজউক। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেট্রোরেলের পুরোটাই হবে উড়ালপথে। মেট্রোরেলের জন্য হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানো হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাত্র ৪ ভাগ কাজ শেষে হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে কিছুটা গতি পেয়েছে আরেক ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের পাশে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিংয়ের কাজ।
বিমানবন্দর সড়ক থেকে চিটাগাং রোড়ের কুতুবখালি পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮‘হাজার ৯‘শ ৪০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৭ ভাগ।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য গত অক্টোবরে চীনা অর্থায়ণকারী প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সাথে চুক্তি হয়েছে। টানেলের সার্ভিস এরিয়ার জন্য ৮৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সেতু বিভাগ। ২০২০ সালের মধ্যে টানেল তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।
২০১৮ সালের মধ্যে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এ প্রকল্পের মাত্র ৩ ভাগ কাজ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩‘শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও অর্থবছর শেষে প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য কোন অর্থই ব্যয় করতে পারেনি সেতু বিভাগ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: